প্রবাহিত হয়। কিন্তু রামমোহন রায়ের শিষ্যেরা ইংরাজীতর আহার ভাল বাসিতেন না; তাহারা মুসলমানীতর আহার ভাল বাসিতেন। একদা আনন্দ বাবু রামনারায়ণ বাবুর পরম বন্ধু হিন্দু কলেজের বিখ্যাত শিক্ষক শ্যামতনু বাবুকে আহারের নিমন্ত্রণ করিয়া তাঁহাকে পোলাও কালিয়া ব্রাহ্মণ দ্বারা পাক করাইয়া খাওয়ান। শ্যামতনু বাবু তাহা খাইবার সময় বলিয়াছিলেন, “It is too rich” অর্থাৎ ইহা বড় ঘিওয়ালা। ইহাতে আনন্দ বাবু আপনার পুত্ত্রের বন্ধুর প্রতি বিরক্ত হইয়া বলিয়াছিলেন, “বাবু ইংরাজ হয়েছেন।” শ্যামতনু বাবু ডিরোজিওর শিষ্য। তিনি এখনও জীবিত আছেন। রামনারায়ণ বাবু স্বপ্নে ও জানিতেন না যে তাঁহার পিতার যবন স্পৃষ্ট আচার চলে। তিনি মনে করিতেন আমরা কালেজের ছোকরা, আমাদিগেরই ঐরূপ আহার চলে। তিনি কখন মনে করেন নাই যে তাঁহার পিতা এত অগ্রসর। আনন্দ বাবুর বাসা তখন পটলডাঙ্গায় ছিল। রামনারায়ণ বাবু পাড়ার পরমেশ্বর ঘোষাল, প্রসন্নকুমার সেন, আনন্দলাল মিত্র প্রভৃতির সহিত কালেজের গোলদিঘিতে মদ খাইতেন এবং এখন যেখানে সেনেট হাউস হইয়াছে সেখানে কতকগুলি গোমাংসের শিক কাবাবের দোকান ছিল, তথা হইতে উক্ত কাবাব কিনিয়া আনিয়া আহার করিতেন। তিনি ও তাঁহার সহচরেরা এইরূপ গোমাংস ও জলস্পর্শশূন্য ব্রাণ্ডি
পাতা:গ্রাম্য উপাখ্যান - রাজনারায়ণ বসু.pdf/১১৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭০
গ্ৰাম্য উপাখ্যান ।
