মুরগির ডিমের আদেশের কতকগুলি চিরকূট দেখাইয়া কিছু টাকা ঠকাইয়া লইয়াছি তাহা আমাকে ক্ষমা করিবে। শেষ বিচারের দিন আমাকে ঈশ্বর দোষী বলিয়া গণ্য না করেন, এই জন্য তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি।” মুন্সীসাহেব বিবেকের দংশনজ্বালা হইতে মুক্তি পাইবার জন্য এইরূপ ক্ষমা প্রার্থনা করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। যাহাদিগের চিত্ত ক্রমাগত কুকর্ম্ম করা জন্য কঠিন না হইয়াছে তাহারা এ জ্বালা হইতে কখন নিষ্কৃতি পায় না। মুন্সী সাহেব একদিন রামনারায়ণ বাবুকে বলিয়াছিলেন “অদ্য রাস্তায় আসিবার সময় একজন ব্যক্তিকে ‘দুঃখে গেল কাল চিরদিন,’ এই গান গাইতে শুনিলাম, এই গানটী আমার অবস্থা ঠিক বর্ণনা করিতেছে।” মুন্সী সাহেব! ঐ গানটী কেবল তোমাতে খাটে এমন নহে, পৃথিবীর অনেক লোকের প্রতিই খাটে।
হরিহর বসু।
হরিহর বসু আনন্দ কিশোর বসুর কনিষ্ঠ ভ্রাতা। আনন্দ কিশোর বসু অধিকাংশ জীবন নগরে যাপন করিয়াছিলেন, মধ্যে মধ্যে বাদল গ্রামে আসিতেন মাত্র। কিন্তু হরিহর বসু সমস্ত জীবন পল্লীগ্রামে কাটাইয়াছিলেন। বাল্যকালে কখন কখন নগরে আসিতেন। আমাদিগের লিখিবার বিষয় গ্রাম্য ব্যাপার ও ঘটনা। কিন্তু আনন্দ কিশোর বাবুর বেলায় আমরা নাগরিক ব্যাপার ও