পাতা:গ্রাম্য উপাখ্যান - রাজনারায়ণ বসু.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গ্ৰাম্য উপাখ্যান ।
৮১

তাহাতে ব্যবসায়ী বৈদ্যের নিকট হইতে ঐ সকল ঔষধ লইলে লোকের যে ব্যয় পড়িত তাঁহার নিকট হইতে লইলে অনেক অল্প ব্যয় পড়িত। তিনি বলিতেন মন্মথ রসের ঔষধ গুণবর্ণনাতে এই সকল কথা আছে; “বৃদ্ধ যোড়শবদ্ভবেৎ” অর্থাৎ ঐ ঔষধ সেবন করিলে বৃদ্ধ ষোড়শবর্ষীয় যুবকের ন্যায় হয়। রোগীকে কখন গঙ্গা যাত্রা করিতে হইবে হরিহর বসু তাহা নাড়ী পরীক্ষা করিয়া বলিয়া দিতেন এই জন্য তাঁহার গ্রামে অসীম প্রতিপত্তি ছিল। নাড়ী-প্রকাশ গ্রন্থ তাঁহার বিলক্ষণ দেখা ছিল। সেই নাড়ী প্রকাশ গ্রন্থে নাড়ীর গতি সর্পের ন্যায় হইলে কিম্বা ভেকের ন্যায় হইলে রোগী কতক্ষণ পরে মরিবে তাহা লিখিত আছে। হরিহর বসু গ্রামের বাটীতেই বসিয়া থাকিতেন। তাঁহার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা আনন্দকিশোর বসু তাঁহাকে প্রতিপালন করিতেন। আনন্দকিশোর বসুর মৃত্যুর পর তাঁহার ভ্রাতুষ্পুত্র রামনারায়ণ বাবু তাঁহাকে প্রতিপালন করিতেন। বাদলগ্রাম হইতে নড়িতে হইলে হরিহর বুসুর মহাবিপদ জ্ঞান হইত। একবার আলিপুরের আদালত হইতে তাঁহার প্রতি সমন জারী হয়। রামনারায়ণ বাবু বলেন যে তাঁহার খুড়া মহাশয় ইহাতে আপনাকে যে কতদূর বিপদাপন্ন বোধ করিয়াছিলেন তাহা বর্ণনাতীত। রামনারায়ণ বাবু অনেক টাকা ব্যয় করিয়া তাঁহাকে সেই বিপদ হইতে উদ্ধার করেন। শাস্ত্রচর্চ্চা ব্যতীত তিনি