যেমন পাশ্চাত্য-আলোকবিস্তারকারী লোক থাকা চাই, তেমনি সংস্কৃতজ্ঞ লোকও থাকা চাই। তাহা না হইলে হিন্দু গ্রাম হিন্দু গ্রাম বলিয়া বোধ হইবে না। বড় দুঃখের বিষয় যে এক্ষণে পল্লীগ্রাম হইতে ভট্টাচার্য্য দিগের টোল ক্রমে উঠিয়া যাইতেছে। ভট্টাচার্য্য মহাশয়েরা নিঃস্বার্থভাবে ছাত্রাদিগকে যে সংস্কৃত শিক্ষা প্রদান করেন তাহা অতি মহাদ্দর্শন। সে দর্শন এত মহৎ যে সভ্যাভিমানী দেশের লোকেরাও তাহা হইতে উপদেশ গ্রহণ করিতে পারেন। এই সকল টোল যাহাতে বজায় থাকে এরূপ কোন উপায় নির্দ্ধারণ করা আমাদিগের ধনাঢ্য ব্যক্তিদিগের কর্ত্তব্য। রাইন নদীতীরে সংস্কৃতের মহা আদর, আর গঙ্গাতীরে যাঁহারা তাহার চর্চ্চা করেন তাঁহাদিগকে অনাহারে কাল যাপন করিতে হয়।
বহুদিবস পরে পৈতৃকবাটী দেখিয়া রামনারায়ণ বাবুর মনের ভাবোচ্ছ্বাস।
আমরা পাঠকবর্গের নিকট অঙ্গীকার করিয়াছিলাম যে অনেক দিন পরে মেলেরিয়া-গ্রস্ত স্বগ্রামের পৈতৃক বাটী দেখিয়া রামনারায়ণ বাবুর মনে যে সকল ভাব উপস্থিত হইয়াছিল তাহা তিনি যে ক্ষুদ্র প্রবন্ধে নিবন্ধ করেন তাহা আমরা তাঁহাদিগকে উপহার দিব। সে অঙ্গীকার আমরা পালন করিতে প্রবৃত্ত হইতেছি।