করিতেন এবং আমরা তাহা হাঁ করিয়া শুনিতাম। তিনি এই পূবের ঘরে শেষ রাত্রিতে জাগিয়া বিছানায় শুইয়া শুইয়া আমাদিগকে
“সুমেরু সমতুল্য হিরণ্য দানে।
নহি তুল্য নহি তুল্য গোবিন্দ নামে৷॥”
এই প্রকার কত পদ্য অভ্যাস করাইতেন। বুড়ীর পার্শ্বে একটী নেকড়োতে কতকগুলি কাটা সুপারি বাঁধা থাকিত ও সম্মুখে একটী জলের ঘটি থাকিত। সেই সুপারি বাঁধা নেকড়া ও জলের ঘটি তাঁহার প্রাণ ছিল। বুড়ি এমন রাশভারি ব্যক্তি ছিলেন যে যখন নিকটস্থ উদ্যানে দিনের বেলা সদরের লোকের অনুমতি লইয়া গ্রামের কোন ব্যক্তি নারিকেল পাড়িতে উঠিত সে তাঁহার জ্বালায় নারিকেল পাড়িতে পারিত না। প্রথম নারিকেলটী ভূমিতে পাড়িবার শব্দ তাঁহার কর্ণকুহরে প্রবেশ করিলে তিনি এমনি এমন এক “কেও” ঝাড়িতেন যে তাহাতে বৃক্ষারোহীর শরীর অবশ হইয়া গাছ হইতে তাহা তৎক্ষণাৎ একেবারে নীচে পড়িবার সম্ভাবনা হইত। বুড়ী আপনার শরীরের লোলচর্ম্মের সহিত নাতি নাতিনী ও ছোট ছোট নাত বউএর গায়ের আঁটাসোটা অথচ কোমল চর্ম্মের বৈপরীত্য অনুভব করিতে বড় ভালবাসিতেন, সে জন্য তিনি সর্ব্বদা তাহাদিগের গা টিপিয়া টিপিয়া দেখিতেন। এই পুবের ঘরের দাওয়ায় তাঁহার কন্যা আমার বিধবা