রায় একবার বাকি খাজনা জন্য মুর্শিদাবাদের নবাবের সৈন্য দ্বারা গ্রেপ্তার হইয়া দিন কতক তথায় বন্দী অবস্থায় থাকেন। এই অবস্থাতে তিনি এক দিন একটী প্রকাণ্ড খাসি একাকী আহার করেন। নবাব বাহাদুর ইহা অবগত হইয়া বলিলেন, “এ সক্স আপকা জমিদারীকা আমদানি সব খা ডালতা হায়, সদর মালগুজারি কেস্তরে করেগা এসকো ছোড় দেও। আর কভি এস্কো পাসসে খাজনা মৎ আদায় করো।” তৎপরে তিনি কারামুক্ত হইয়া রাজকর হইতে নিষ্কৃতি লাভ করিয়া নিষ্কণ্টকে আপনার জমিদারী উপভোগ করিতে লাগিলেন। কমলাকান্ত সার্ব্বভৌম মহাশয় অতি বিদ্বান, উদার স্বভাব ও বদান্য ব্যক্তি ছিলেন। ইনি একদিন বাদলগ্রাম হইতে বেলা দুই প্রহরের সময় বাহুলীন গ্রামে যাইতেছিলেন। গ্রাম হইতে অর্দ্ধ ক্রোশ আসিয়া দেখেন যে কক্ষে কলসধারিণী গুটি কতক বাগ্দি স্ত্রীলোক সূর্য্যের উত্তাপে ক্লিষ্ট হইয়া একটী গাছের ছায়ায় বসিয়া কথোপকথন করিতেছে। তিনি তথায় উপস্থিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন,“বাছারা! তোমরা কি বলিতেছ?” তাহারা তাঁহাকে বলিল, “ভট্টাচার্য্য মহাশয়, আমাদিগকে দীঘি হইতে জল লইয়া যাইতে হয়, ইহা আমাদিগের গ্রাম হইতে দুই ক্রোশের কম নহে। এই বাদল গ্রামে এতগুলি ভদ্রলোক আছেন, তাঁহারা যদি এখানে একটা পুকুর কাটাইয়া দেন তাহা হইলে আমা—
পাতা:গ্রাম্য উপাখ্যান - রাজনারায়ণ বসু.pdf/১৪০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৪
গ্রাম্য উপাখ্যান।
