দিগকে আর অতদূর কষ্ট করিয়া জল আনিতে হয় না। নিকটে জল পাইয়া বাঁচি।” ইহাতে সার্ব্বভৌম মহাশয় আর তাহাদিগকে কিছু না বলিয়া বেহালায় গিয়া সন্তোষ রায়ের নিকট বাদল গ্রামের উত্তরাংশে একটুকু জমী ভিক্ষা করেন। কিন্তু ক্ষুদ্রমনা উদরপরায়ণ জমীদার মালজমী বলিয়া দিতে অস্বীকৃত হওয়ায় সার্ব্বভৌম মহাশয় নিজের জয়রামপুর গ্রামের ব্রহ্মোত্তর জমীর সহিত এওজ দোয়জ করিয়া সেই নিরূপিত জমীর উপর একটি বৃহৎ পুষ্করিণী খনন করেন। অদ্যাবধি সেই পুষ্করিণী তপস্বী পুকুর নামে অভিহিত আছে। এতদ্ব্যতীত উক্ত সার্ব্বভৌম মহাশয় গ্রামের অপর তিন দিকে তিনটী পুষ্করিণী খনন করান, তাহাও অদ্যাপি “তপস্বী পুকুর” নামে খ্যাত আছে।
তপস্বী বংশের কতকগুলি ব্যক্তি বারুইপুরের জমীদারদিগের এলাকায় বাস করেন। এক সময়ে উক্ত জমীদারেরা তাঁহাদিগের মধ্যে কোন কোন ব্যক্তিকে আদালতে সাক্ষ্য দিতে অনুরোধ করেন। তাঁহারা তাহা ধর্ম্মবিরুদ্ধ কাজ বলিয়া তাহা করিতে অসম্মত হয়েন। এইরূপে তাঁহারা উত্যক্ত হইয়া স্বগ্রাম ছাড়িয়া বাদল গ্রামে পলাইয়া আসেন। তপস্বীবংশীয় এই সকল ব্যক্তিকে ধর্ম্মবীর বলিয়া আমাদিগের গণ্য করা কর্ত্তব্য। ধর্ম্ম বিষয়ে যদি কোন লোকের কোন ভ্রমাত্মক মত থাকে, তথাপি সেই ভ্রমাত্মক মত জন্য তিনি উৎপীড়ন সহ্য করিলে তাঁহাকে ধর্ম্মবীর বলিয়া গণ্য করা