পাতা:গ্রাম্য উপাখ্যান - রাজনারায়ণ বসু.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গ্ৰাম্য উপাখ্যান ।
৯৭

সহিত তাঁহার সাক্ষাৎ হয়। তিনি উহাদিগকে সপরিবারে হঠাৎ বাদলগ্রামে আগমনের কারণ জিজ্ঞাসা করাতে তাঁহারা যাহা ঘটিয়াছে বর্ণনা করিলে তিনি তাঁহাদিগের ধর্ম্মবীরত্বে মুগ্ধ হইয়া তাঁহাদিগকে যত্নের সহিত আপনার বাটীতে আনিয়া তাঁহাদিগকে নিজের ভদ্রাসন বাটী দান করিয়া গঙ্গাতীরে বাসের জন্য সস্ত্রীক গমন করেন। এই পাশ্চাত্য সভ্যতা-জনিত স্বার্থপরতার কালে এরূপ ঔদার্য্য অলীক বলিয়া বোধ হইবে কিন্তু বস্তুতঃ ইহা সত্য। গঙ্গাতীরে প্রয়াণ কালে পথিমধ্যে জমীদার ঘোষ বংশীয় কোন ব্যক্তির সহিত সার্ব্বভৌম মহাশয়ের সাক্ষাৎ হয়। কোথা যাইতেছেন তিনি তাহাকে জিজ্ঞাসা করাতে সার্ব্বভৌম মহাশয় আনুপূর্ব্বিক সমুদায় বিবৃত করেন। ইহাতে উক্ত জমীদার মহাশয় আপনাদিগের চৌদ্দ বিঘা বাস্তু ভূমি হইতে তিন বিঘা জমী তাঁহাকে দান করিয়া পুনরায় বাদল গ্রামে তাঁহাকে বাস করান। এক্ষণে “বড় বাগান” বলিয়া একটী আকাট জঙ্গলময় স্থান বাদল গ্রাম মধ্যে আছে। সেই স্থান ঘোষবংশের প্রাচীন পরিত্যক্ত ভদ্রাসন। আর উহার দক্ষিণাংশে তিন বিঘা পরিমিত স্থানে তপস্বীবংশীয়ের অদ্যাপি বাস করিতেছেন।

 কমলাকান্ত সার্ব্বভৌম মহাশয় সম্বন্ধে একটা অতি রহস্য-জনক কথা গ্রামে প্রচলিত আছে। সার্ব্বভৌম