পাতা:গ্রাম্য উপাখ্যান - রাজনারায়ণ বসু.pdf/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গ্ৰাম্য উপাখ্যান ।
১০৩

চিনি শুকিয়ে খাব। ষষ্ঠীর বাপের মহা বিপদ উপস্থিত হইল, রাত্রে চিনির পানা কি প্রকারে শুকাইয়া দিবেন, তখন প্রকারান্তরে যষ্ঠীকে কিছু শুকনা চিনি দিয়া সে রাত্রের মত ছেলেকে থামাইলেন। আর একদিন অনেক রাত্রিতে ষষ্ঠী আব্দার করিলেন যে বাবা ঘোড়া চড়িব। যষ্ঠীর বাপ মহাবিপদে পড়িলেন, একে ভট্টাচার্য্য মানুষ ঘোড়াতো নাই, তাহাতে আবার অতরাত্রে ঘোড়া কোথায় পান। যখন ষষ্ঠীর মাতা বলিল যে ছেলে যদি বায়না করিয়াছে তা তুমি একবার কেন ঘোড়া হওনা, তখন ষষ্ঠীর পিতা নিজে ঘোড়া হইলেন। আবার ষষ্ঠী আব্দার করিলেন যে ঘোড়ার সিং কই। ষষ্ঠীর বাপ ছেলেকে বুঝাইতে লাগিলেন যে ঘোড়ার কখন সিং হয় না। ছেলে কিছুতেই বুঝবে না, অত্যন্ত কাঁদিতে লাগিল, তখন ষষ্ঠীর মাতা রাগ করিয়া বলিলেন যে ছেলে যখন আব্দার করিয়াছে তুমি কেন আপনার দুটা সিং কর না। তখন ষষ্ঠীর পিতা অগত্যা সেই রাত্রে বাবুদের পুকুর হতে কাঁকড়ার মাটি আনিয়া আপনার দুইটা সিং করিলেন, তখন ষষ্ঠীর কান্না থামিল। এই ষষ্ঠী বড় হইলে তাহার পিতা একদিন জিজ্ঞাসা করিলেন যে বাপু ষষ্ঠী তুমি এত বড় হইলে লেখাপড়া কি শিখিলে? রামায়ণ মহাভারত পড়িয়াছ তাহা কিছু বলিতে পার? ষষ্ঠ সগর্ব্বে বলিয়া উঠিলেন, “হাঁ, জানি, তবে শুনুন। (কথকের সুরে কিন্তু