পাতা:গ্রাম্য উপাখ্যান - রাজনারায়ণ বসু.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০৪
গ্ৰাম্য উপাখ্যান ।

কিছু সানুনাসিক সুরে) এক যে রামচন্দ্র ছিলেন তাঁর চৌদ্দটী হনুমান। শ্রী রামচন্দ্র বলিলেন “হে জানকি! আমি কল্য প্রত্যুষে হনুমান চারণে যাব।” জানকী তৎপর দিন অতি প্রত্যুষে রামচন্দ্রকে পান্তাভাত ও বড়ি পোড়া দিয়া অন্ন দিলেন। শ্রী রামচন্দ্র রোদে পিট দিয়া পান্তাভাত ও বড়িপোড়া ভক্ষণ করিলেন। তৎপরে (টানাসুরে) শ্রীরামচন্দ্র হনুমান চারণে গমন করিলেন। মাঠের মধ্যে রামচন্দ্র বৃক্ষোপরি আরূঢ় হইয়া হনুমান চারণ করিতে লাগিলেন। এখন (টানাসুরে) রামচন্দ্রের তেরটি হনু ঘাস খায়, আর একটা হনু ঘাস খায় না। শ্রী রামচন্দ্র সেই হনুটাকে বলিলেন যে ‘ওরে হোনো! ঘাস খা।’ হোনো কোন প্রকারে ঘাস খায় না, তখন শ্রী রামচন্দ্র বৃক্ষ হইতে অবতরণ পূর্ব্বক বলিলেন যে ‘ওরে হোনো! ঘাস খা।’ হোনো তথাপি ঘাস খায় না। তখন শ্রী রামচন্দ্র ক্রুদ্ধ হইয়া গালি দিতে লাগিলেন, ‘ওরে দুর্ব্বৃত্ত দশানন! ওরে লম্বোদর গজানন! ওরে মলিম্লচ! ওরে জরদ্গব! ওরে পাষণ্ড! ঘাস খা।” হোনো তথাপি শুনিল না, তখন শ্রীরামচন্দ্র চপেটাঘাতে মুষ্ট্যাঘাতে, হোনোকে পপাত ধরণীতলে করিলেন। ইতি কংসবধঃ।” ইতি কংসবধঃ বলাতে ষষ্ঠীর মহাভারতে যে বুৎপত্তি আছে তাহাও তিনি জানাইলেন। ইটালীয় ভাষাতে “Extra vagaza.” আখ্যাধারী যত প্রকার অদ্ভূত প্রবন্ধ আছে ন্যায়লাঙ্কার