যখন স্বর্গীয় জ্যোতিঃ পরিধান করি
সুস্বপ্নের নবীনতা ও দীপ্তি ধরি
ভাতিত প্রান্তর, কুঞ্জ, সামান্য তটিনী,
যৎসামান্য দৃশ্য আর সামান্য মেদিনী।
আমরা পূর্ব্বে উল্লেখ করিয়াছি, যে এই কালে দশরথ ধরা ও বাকস পুষ্পের মধু পান করা প্রধান আমোদ ছিল। এতদ্ব্যতীত মাছ ধরা, ভিন্ন ভিন্ন উদ্যান হইতে কাঁচা আঁব সংগ্রহ করা এবং কড়াই সুঁটি–ক্ষেতে পড়িয়া কড়াই সুঁটি খাওয়া, এইরূপ আরও কয়েকটী আমোদ ছিল। মাছ ধরিবার জন্য আমরা কি আগ্রহের সহিত চার ও মসলা তৈয়ারি করিতাম এবং যখন মাছে ছিপের ফাতনা একবার ডুবাইত একবার উঠাইত তখন আমাদিগের স্পন্দমান হৃদয়ে কি উল্লাস উপস্থিত হইত। তাহার পর মৎস্য খেলান কি উল্লাসজনক তাহা বর্ণনা করা যায় না। যে সকল উদ্যান হইতে কাঁচা আঁব কিম্বা অন্য ফল সংগ্রহ করিতাম সে সকল উদ্যানের রক্ষকেরা আমাদিগকে বড় কিছু বলিতেন না। যে সকল কড়াই সুঁটির ক্ষেতে পড়িয়া আমরা কড়াই সুঁটি খাইতাম সে সকল ক্ষেতের কৃষকেরাও বড় কিছু বলিত না। কিন্তু উহার মধ্যে এক জন দুষ্ট কৃষক একবার “কে ও” বলিয়া তেড়ে আসাতে আমাদিগেয় দলস্থ ষণ্ডামার্ক বীর বালকেরা কড়াই সুঁটি লইয়া অনায়াসে চম্পট্ দিল, কিন্তু মাঝের পাড়ার