সুরতি (Municipal Lottery) হইত। এখন যেমন মিউনিসিপাল কর বসাইয়া নগরের শোভাবর্দ্ধন করা হয় তখন ঐ কার্য্য ঐ সুরতির টাকা দ্বারা সম্পাদিত হইত। নরনারায়ণ ঘোষের নামে এইরূপ সুরতিতে একবার লক্ষ টাকার প্রাইজ উঠে। আমরা শুনিয়াছি কেহ এইরূপ লক্ষ টাকা প্রাইজ পাইবার সংবাদ পাইয়া আহ্লাদে মরিয়া গিয়াছে। কিন্তু নরনারায়ণ ঘোষ মরেন নাই, কারণ তিনি সম্পদে অভ্যস্ত ছিলেন। নরনারায়ণ বড় বাবু ছিলেন। তিনি একবার বাদলগ্রামে আপনার বাটিতে মজলিস্ করিয়া তাহাতে কলিকাতার বড়মানুষদিগকে নিমন্ত্রণ করিয়াছিলেন। এই মজলিস্ উপলক্ষে নরনারায়ণ স্বীয় বাটীর সিঁড়ির ধাপগুলি শাল দিয়া মুড়িয়া দিয়াছিলেন। আমরা বাল্যকালে নরনারায়ণ ঘোষকে দেখি নাই, তাঁহার জ্যেষ্ঠ পুত্র রাধানাথ ঘোষকে দেখিয়াছি। রাধানাথ ঘোষজা মহাশয় তাঁহার পিতার বিষয় অপরিমিত ব্যয় দ্বারা উড়াইয়া দিয়াছিলেন। ইনি আফিঙ সেবন করিতেন এবং উত্তম সেতার বাজাইতে পারিতেন। ইনি অতি অমায়িক লোক ছিলেন। তাঁহার এক রোগ ছিল। আহারের সময় তিনি ক্রমাগত ভাত বাছিতেন, তাঁহার এক বন্ধু তাঁহাকে বলিয়াছিলেন “আপনি ক্রমিকই বাছিবেন ত খাবেন কখন?” আমরা সেইরূপ এক্ষণকার সমালোচক মহাশয়দিগকে বলিতে পারি “আপনারা ক্রমিক বাছিবেন ত
পাতা:গ্রাম্য উপাখ্যান - রাজনারায়ণ বসু.pdf/৬৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গ্ৰাম্য উপাখ্যান ।
১৭
