পাতা:গ্রাম্য উপাখ্যান - রাজনারায়ণ বসু.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
গ্ৰাম্য উপাখ্যান।

করিয়া পল্লীগ্রামে বসতি করিতে সংকল্প করিতেছেন; তাঁহার জ্যেষ্ঠা কন্যার শরীরের অবস্থা জন্য অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হইয়াছেন তাহার বায় ক্রমশঃ বৃদ্ধি হইতেছে, সময়ে পল্লীগ্রামে না পলাইলে তাঁহার আর নিস্তার নাই। এই সমস্ত উদ্বেগের কারণ সেই বৃহৎ গল্লা চিঙ্গড়িটী। যখন ভারাক্রান্ত প্রকৃতি সময়ে ঐ দাড়াওয়ালা জিনিষ হজম করিয়া ফেলিয়াছে, তখন গিয়া দেখি সে তাঁহার কন্যা সুস্থ হইয়াছে এবং তাঁহার অবস্থা ভাল হইয়াছে, এবং সকল পল্লিগ্রামীয় ভাব তাঁহার মন হইতে চলিয়া গিয়াছে। এইরূপে অগ্নিদগ্ধ পনির আহার জন্য কত পুরাতন বন্ধুতা বিনষ্ট হয় এবং অনেক দিন ধরিয়া নুণ দিয়া জারানো কঠিন মাংসাহার কত লোকের মনে আত্মহত্যা- প্রবৃত্তি জন্মায়। শরীরের অসুখ মনের অসুখ উৎপাদন করে এবং এক গ্রাস দুষ্পাচ্য আহার বৃহদাকার দুঃখ উৎপাদন করে। মানবীয় সুখ মানবীয় শরীর-তত্ব-বিজ্ঞানের প্রতি এতদূর নির্ভর করে।” যতই সভ্যতা বৃদ্ধি হইয়া মানসিক পরিশ্রম বৃদ্ধি করে তত স্নায়ু দুর্ব্বল হইয়া অজীর্ণ উৎপাদন করে। সেই অজীর্ণ হইতে উক্ত প্রকার বায়ু রোগের উৎপত্তি হয়। সে কালের ভট্টাচার্য্য মহাশয়েরা সকাল বিকাল পরিশ্রম করিতেন মধ্যাহ্নে আহার করিয়া বিশ্রাম করিতেন, অষ্টমী প্রতিপদে পাঠ দিতেন না, সমস্ত বর্ষাকাল মেঘ গর্জ্জন জন্য