পড়াইতেন না, কুড়ি পঁচিশ বৎসরে “ত্রৈলোক্য চিন্তামণি”[১] নামক ন্যায়ের এক খানি টীকা লিখিতেন। কিন্তু এক্ষণে বাঙ্গালীদিগের মধ্যে যেরূপ মানসিক পরিশ্রম বৃদ্ধি হইয়াছে তাহাতে বিলক্ষণ উদ্বেগের কারণ হইয়াছে। এইরূপ মানসিক পরিশ্রম শীতদেশবাসী, আর্য্যজাতির প্রধান আহার গোমাংসভোজী, শক্ত হাড় লোক দিগেরই পোষায়। পাঠক অবশ্য গ্রীষ্মকালে কোন কোন দিনে অসংখ্য পিপীলিকাকে পালকবিশিষ্ট হইয়া উড়িতে দেখিয়াছেন। সেইরূপ এক্ষণে অসংখ্য গ্রন্থ অসংখ্য সম্বাদপত্র ও অসংখ্য সাময়িক পত্রিকা চতুর্দ্দিকে উড়িতেছে। এই সকল গ্রন্থ ও পত্রিকা লেখকদিগকে আমরা বলি, “এখন এইরূপ করিতেছেন, কিন্তু ‘এক রোজ মজা মালুম হোগা।’ একদিন এইরূপ প্রভূত মানসিক পরিশ্রম জন্য আপনাদিগকে কষ্ট পাইতে হইবে।” “পিপীড়ার পালক উঠে মরিবার তরে।” পাঠক এইস্থল পাঠ করিয়া বলিতে পারেন “আপনারাও ত সংবাদপত্র সম্পাদক।” তাহার উত্তর এই যে পালক উঠা সংক্রামক রোগ। আমাদিগের দুর্ভাগ্যবশতঃ আপনাদিগের রোগের দ্বারা আমরা সংক্রামিত হইয়াছি। এক্ষণে আমাদিগের একমাত্র প্রবোধের কারণ এই যে দশ জনের ভাগ্যে যাহা আছে আমাদেরও ভাগ্যে তাহাই হইবে।
- ↑ “ত্রৈলোক্য চিন্তামণি” বায়ূরোগের একটী ঔষধ। আমরা এই নামটী আয়ুর্ব্বেদ হইতে ধার করিয়া ন্যায়ে খাটাইলাম।