বায়ূরোগের ঔষধ কি? আয়ুর্ব্বেদ কর্ত্তারা বলেন, “নচ তৈলাৎ পরং নাস্তি ঔষধং মারুতাপহঃ” “বায়ূ রোগের তৈল অপেক্ষা ঔষধ আর নাই” “মধুরৈঃ শীতলৈঃ পথ্যৈঃ জামাতৃবৎ সেবয়েৎ” “মিষ্টি ও শীতল দ্রব্য দ্বারা এই রোগকে জামাতার ন্যায় সেবা করিবে” কিন্তু আমাদিগের মতে এই রোগ নিবারণের প্রধান উপায় পরিমিত আহার করা, কোন দুষ্পাচ্য দ্রব্য ভক্ষণ না করা এবং রোগের প্রতি আত্মার বল নিয়োগ করা। এ রোগ যেমন আত্মার বলের অধীন এমন অন্য কোন রোগ নহে। একটা ইংরাজী-অধ্যায়ী চালাক বাঙ্গালী বালক এই রোগগ্রস্ত আমাদিগের কোন বন্ধুকে এই রোগের এমন একটী ঔষধ বলিয়া দিয়াছেন যে সে ঔষধের মত আর কোন ঔষধ নাই। সে তাঁহাকে বলিল “You should be angry with the disease” এই রোগের প্রতি বিলক্ষণ ক্রোধ করিবেন তাহা হইলে তাহা নিবারিত হইবে।” “কোন মতে আমার মনকে এই রোগ দ্বারা আক্রান্ত হইতে দিব না,’ এইরূপ দৃঢ়প্রতিজ্ঞা ইহার প্রধান ঔষধ।” Recreations of a Country Parson বলেন যে এ রোগের প্রধান ঔষধ মানসিক পরিশ্রম যাহাতে না হয় এবং উৎকট শারীরিক পরিশ্রমও না হয় এরূপ কোন কার্য্যে সর্ব্বদা নিযুক্ত থাকা। এই রোগগ্রস্ত ব্যক্তিগণ শারীরিক পরিশ্রম করিতে অত্যন্ত পরাঙ্মুখ, কিন্তু
পাতা:গ্রাম্য উপাখ্যান - রাজনারায়ণ বসু.pdf/৮৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮
গ্ৰাম্য উপাখ্যান ।
