পাতা:গ্রাম্য উপাখ্যান - রাজনারায়ণ বসু.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্ৰাম্য উপাখ্যান । 8 이 লাগাইতেন। পাঠক দেখুন এক্ষণকার লোকে একটা শ্যাল 5ा फुश्लेि८ङ भाभन्म হয় না। আর সে কালের লোক কেমন সাহসী ছিল । ছেলেবেলা আমাদিগের বাটীতে দেখিয়াছি লাঠি, সোটা, তল ওয়ার, টাঙ্গি ঘরের দেওয়ালের উপর ঝোলান থাকিস্ত, অস্ত্ৰ ব্যবহার নিষেধের সঙ্গে সঙ্গে আমাদ্বিগের জাতির যাঙ্গা কিছু বীৰ্য্য ছিল, তাহা আমরা হারাইতেছি । ইদানীন্তন রামপ্রসাদ বসুর বিলক্ষণ অর্থ কষ্ট ঠাইয়াছিল। তিনি পাণ্ডুরোগের ঔষধ বিক্রয় করিতে বাধ্য হন । ঐ সময়ে পাণ্ডুরোগের ঔষধ বিক্রয়ের দরুণ টাকা মাত্র তাহার জীবনোপায় ছিল। এক দিন একটা মাত্র টাকা হাতে আছে এমন সময়ে গ্রামের কোন ব্ৰাহ্মণ আসিয়া বলিলেন, “কল্য আমাদিগের আহার হয় নাই। হাতে কিছু নাই ।” তিনি বলিলেন, “আমার হাতে একটা টাকা মাত্ৰ আছে তাহা তুমি লইয়া যাও।” ব্ৰাহ্মণ তাহা লইতে কোন মতে সন্মত হইলেন না । তিনি জোর করিয়া তাহাকে সেই টাকাটা দিলেন। কিন্তু বলিয়া দিলেন, “ছোট গিন্নি ( তাহার দ্বিতীয়৷ স্ত্রা ) যাহাতে তাহা টের না পান এমন করিয়া লইয়া যাও । সে জানিতে পারিলে আমাকে গালি দিয়া ভূত ছাড়া করিবে। আমার নিজের জন্য কোন ভাবনা করি না, ঈশ্বর আছেন।” এই স্বার্থপরতাপূর্ণ ধৰ্ম্মশূন্য সভ্যতার কালে এরূপ দানশক্তি ও ঈশ্বরের প্রতি নির্ভর ভাব কয়টা লোকে প্ৰকাশ করিতে সক্ষম হয় ?