পাতা:গ্রাম্য উপাখ্যান - রাজনারায়ণ বসু.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গ্ৰাম্য উপাখ্যান ।
৪৯

গুলি ত্যাগাস্বীকারকারী ঈশ্বরনিষ্ঠ ধর্ম্ম প্রচারকারী সন্ন্যাসী, সমাজ-সংস্কারক সন্ন্যাসী ও রাজনৈতিক সন্ন্যাসী আবশ্যক হইয়াছে। ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা তিনি এই অভাব শীঘ্র দূর করুন।

রামসুন্দর বসু

 রামসুন্দর বসু রাম প্রসাদ বসুর কনিষ্ঠ ভ্রাতা। সে কালের রীত্যনুসারে রামপ্রসাদ বসু বিদেশে চাকরি করিতেন ও রামসুন্দর বসু বাটীতে থাকিয়া বাটীর কায দেখিতেন। ইনি অতি উদারস্বভাব ব্যক্তি ছিলেন। বাদলগ্রামবাসীর মধ্যে যাঁহারা কলিকাতায় চাকরী করিতেন তাঁহাদিগের মধ্যে যাহার নূতন বাটী নির্ম্মাণ অথবা পুষ্করিণী খনন আবশ্যক হইত তিনি তাহার তত্ত্বাবধানের ভার রামসুন্দর বসুর প্রতি অর্পণ করিতেন। রামসুন্দর বসু গ্রীষ্ম কালে প্রচণ্ড রৌদ্রের সময় মধ্যমনারায়ণ তৈল বুকে লাগাইয়া ঐ প্রকার কার্য্যে নিযুক্ত মজুরদিগকে খাটাইতেন। তাঁহার ধাতু স্বভাবতঃ গরম ছিল, এই জন্য তিনি উক্ত তৈল সর্ব্বদা ব্যবহার করিতেন। তাঁহার এমনি গরম ধাতু ছিল যে শীতকালে একটি ফিন্‌ফিনে চাদর গায়ে দিয়া শীত কাটাইতেন। তিনি বলিতেন উষ্ণ পরিচ্ছদ তাহার সহ্য হয় না। গরম ধাতুর লোক হইয়াও তিনি পরের হিতার্থে গ্রীষ্মকালে এরূপ কষ্ট স্বীকার করিতে পরাঙ্মুখ হইতেন না। তাহার একটী নিত্য কর্ম্ম ছিল, প্রত্যহ প্রাতে একটী ছাতা