পাতা:গ্রাম্য উপাখ্যান - রাজনারায়ণ বসু.pdf/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫২
গ্ৰাম্য উপাখ্যান ।

সহিত প্রথম বাণিজ্য সম্বন্ধ সংস্থাপন করে। কালীঘাটের পাশ দিয়া যে গঙ্গা গিয়াছে তাহাকে আদ্য গঙ্গা বলে। ঐ আদ্য গঙ্গা এক সময়ে অতি প্রশস্ত নদী ছিল। ঐ নদী দিয়া পোর্তুগিজদিগের জাহাজ আসিয়া গঙ্গায় পড়িয়া শিবপুরের কাছ দিয়া যে সরস্বতী নদী প্রবাহিত আছে এবং যাহা এক্ষণে সাঁকরাইলের খাল নামে আখ্যাত এবং আঁদুল গ্রামের নিকট দিয়া গিয়াছে তাহার মধ্য দিয়া হুগলীর নিকটস্থিত সাতগা গ্রামে যাইত, উলুবেড়িয়ার গাঙ্ দিয়া সরস্বতী নদীর মুখ পর্য্যন্ত আসিতে পারিত না, যেহেতু খিদিরপুর হইতে রাজগঞ্জ পর্য্যন্ত ভূমি ছিল। একজন ধনাঢ্য মোগল খিদিরপুর হইতে রাজগঞ্জ পর্য্যন্ত একটী খাল কাটিয়া দিয়াছিল, সেই খাল ক্রমে প্রশস্ত হইয়া উলুবেড়িয়ার গাঙের সঙ্গে গঙ্গার সংযোগ করিয়া দিয়াছে। খিদিরপুর হইতে জয়নগর মজিলপুর পর্য্যন্ত আদ্যগঙ্গার দুই পার্শ্বের গ্রামের নাম প্রাচীন পোর্তুগিজ মানচিত্রে দৃষ্ট হয়। এক্ষণে আদ্যগঙ্গা বহুল স্থানে মজিয়া গিয়াছে। কলিকাতার দক্ষিণ দেশের লোকেরা “বসু পুষ্করিণী” “ঘোষের পুষ্করিণী” নামক পুষ্করিণী সকলে গঙ্গা ধরিয়া রাখিয়াছে। গঙ্গাকে লোকে যেমন পবিত্র জ্ঞান করে সেই সকল পুষ্করিণীকে তাহারা তদনুরূপ পবিত্র জ্ঞান করে। ইংরাজের আমলের প্রথম পর্য্যন্ত পোর্তুগিজদিগের জাহাজ বাণিজ্যার্থে কলিকাতায় আসিত। কলিকাতার শেঠেরা ঐ জাহাজের