পাতা:গ্রীসদেশের ইতিহাস.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রীস দেশের ইতিহাস। ৬৯ হইলে, পূর্ব নিয়মাদির পরিবর্তন এবং দোষ সংশোধন করিভ । এথেন্স নগরে এই নিয়ম ছিল সন্তানের ষোড়শ বর্ষ বয়ঃক্ষম পর্যন্ত মাতাপিত আপন আপন সন্তাঙ্গের শিক্ষণ কার্যের ভার গ্ৰহণ করিতেন। ষোড়শ বর্ষের পর দুই বৎসর কাল উহার ব্যায়াম ও অস্ত্র শিক্ষণ করিত। ব্যায়াম ও অস্ত্র শিক্ষণ কালে উহাদিগকে অত্যন্ত কঠিন নিয়মের পরতন্ত্র থাকিতে হইত। উহাদিগকে ব্যায়াম ও অস্ত্র শিখাইবার নিমিত্ত রাজ্যতন্ত্র হইতে স্বতন্ত্র লোক নিয়োজিত হইত । তাহারাই ব্যায়াম ও অস্ত্র বিষয়ক শিক্ষ দান করিত। অষ্টাদশ বর্ষ বয়ঃপ্রাপ্তি হইলে পর উহাদিগকে কেবল অস্ত্র শিক্ষা করিতে হইত। অষ্টাদশ বর্ষের পর উহার নাগরিক পদ প্রাপ্ত হইত। এথেন্সের নাগরিক লোকের। যে যে বিষয়ে এবং যে যে কৰ্ম্মে অধিকারী ছিল, উহার সেই সেই বিষয়ে এবং সেই সেইaকৰ্ম্মে অধিকারী হইত। ষাটি বৎসর বয়স পর্যন্ত উহাদিগকে যুদ্ধে যাইতে হইত। 4 এথেন্সনগরে স্ত্রীগণের বিদ্যাশিক্ষার প্রথা ছিল না। এথেন্সনগরীয়ের স্ত্রীগণের বিদ্যাপিক্ষ বিষয়ে অম্বুরাগ প্রদর্শন করা দুরে থাকুক, প্রত্যুত বিরাগই প্রদর্শন করিত। স্ত্রী লেখাপড় শিখিলে তং সহবাসে স্বামীর যে অতুল আনন্দ মুখ লাভ হইয়। থাকে, এথেন্স নগরীয়ের তাহাতে বঞ্চিত ছিল । এথেন্সনগরীয় স্ত্রীগণের প্রকাশিত স্থলে গমন অমুমত ছিল না। অাটিক দেশ সমুদ্রের নিকটবৰ্ত্তী । আটকাদেশ সমুদ্রের নিকটস্থ দেখিয়া সেলিন এই বিবেচনা করিলেন, এ দেশে নৌবিদ্যার বিলক্ষণ অযুশীলন হইতে পারে। এ দেশের লোক যদি নৌবিদ্যার অনুশীলন করে,তাহা হইলে দেশের উত্তরোত্তর সোঁভাগ্য সমৃদ্ধি বুদ্ধি হইতে পারে। এই বিবেচনা করিয়া তিনি আটিক দেশে জাহাজ নিৰ্ম্মাণ প্রথা প্ৰৱৰ্ত্তিত করলেন এবং এই নিয়ম প্রচার করিয়া দিলেন যে, জাহাজ সকলের ব্যবহার যোগ্যতা সম্পাদন নিমিত্ত যত দ্রব্য ও যত লোক আৰশ্যক, দেশীয় লোকদিগকে তং সমুদায় যোগাইতে হইবে । পুৰ্বে আটকাদেশবাসী সমুদায় লোকের চরি শ্রেণীতে বিভাগের কথ। ദ്രു