পাতা:গ্রীসদেশের ইতিহাস.pdf/৮৮

• গ্রীস দেশের ইতিহাস । b> অনুমোদিত কি না, আগে জানিলেন তাহার পক্ষেই অমুকুল দৈববাণী হইল। অনন্তর, তিনি স্থিরপ্রতিঞ্জ হইয়া স্বসংকল্লিত কার্য আরম্ভ করিলেন । আটকাদেশীয় সমুদায় লোক শ্রেণী চতুষ্টয়ে বিভাজিত ছিল। ক্লিস্থিনিস সেই পুৰ্ব্বতন শ্রেণী বিভাগ রহিত করিয়া সমুদায় মাটিক দেশ প্রথমে দশ অংশে বিভাগ করিয়৷ সেই দশ অংশের ডিমস নামে আবার কতগুলি অবাস্তর বিভাগ করিলেন। এক একট অবান্তর বিভাগে এক একট প্রদেশ হইল। প্রতি প্রদেশেই এক একটা গ্রাম অথবা নগর প্রধান রূপে পরিগণিত হয় এবং সেই সেই প্রদেশে সেই সেই স্থানের এক এক ব্যক্তি শাসনকর্তৃত্বপদে নিয়োজিত হইলেন । রিস্থিনিস পূৰ্ব্বেক্ত বিভাগ করিয়া আপনার দল পুষ্ট করিবার অভিপ্রায়ে দাসগণকে এবং বিদেশীয় ব্যক্তিদিগকে এথেন্‌স নগরীয়দিগের তুল্য ক্ষমতা প্রদান করিলেন । ফলতঃ তিনি অভিনব রাজ্য শাসনপ্রণালী স্থাপন করাতে সীমান্য প্রজাগণের ক্ষমতার বৃদ্ধি হইল এবং প্রধান ব্যক্তিদিগের ক্ষমতার হ্রাস হইয় গেল । পূৰ্ব্বে চর্মর শ্রেণীর অনুসারে এক শত করিয়া সমুদয়ে প্রধান সভার চারি শত সভ্য ছিল ৷ ক্লিস্থিনিসের কৃত মুক্তন শ্রেণী বিভাগ হইলে দশ শ্রেণীর প্রত্যেক শ্রেণী হইতে পঞ্চাশ জন করিয়৷ প্রধান সভার সভ্যপদে নিয়োজিত করা হয়, তাহাতে সমুদায়ে প্রধান সভার পাচ শত সভ্য হইল। ক্লিস্থিনিসের কৃত অভিনব রাজ্যশাসনপ্রণালী স্থাপিত হইবার পর অবধি প্রজাগণের সাধারণ সভা প্রতিমাসে চারি বার করিয়া হইতে আরম্ভ হইল । পুৰ্ব্বে যে একপ্রধান ধর্শ্বাধিকরণের কথা উল্লেখ করা গিয়াছে, ক্লিাস্টনিস সেই একটা হইতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দশটা ধৰ্ম্মাধিকরণ’ করিলেন। তিনি আর্কিনের সংখ্যাগত কোন বৈলক্ষণা করিলেন না। আর্কনের সংখ্যা পূর্ক্সের মতই রহিল। এথেন্সনগরে অষ্ট্রেসিজম বলিয়া এক বিবাসনী প্রক্রিয় প্রসিদ্ধ ছিল । অত্যাচার অথর অন্যবিধ কুক্ৰিয় দ্বারা যে ব্যক্তি সকলের অপ্রিয় হইয়া উঠিত, কিম্বা রাজ্যর অহিতকারী বলিয়া যাহার প্রতি সকলের সন্দেহ জম্মিত, প্রজাগণ তাহার নাম লিথিয় এক নিদিষ্ট স্থানে রাথিয়। মাসিত,