এই গোলযোগ। হেদায়েতের কন্যাকে আটক করিয়া রাখিলেই খাজানা আদায় হইবে, এই ভাবিয়া গোফুর খাঁ তাহাকে ধরিয়া আনিবার নিমিত্ত আদেশ প্রদান করেন। তাঁহার পুত্র ওস্মান অপর কয়েকজন লোকের সাহায্যে এই আদেশ প্রতিপালন করে। পরিশেষে উহার কন্যাকে ধরিয়া তাঁহাদিগের বাড়ীতে লইয়া যায়।
পঞ্চম পরিচ্ছেদ।
ওস্মান ও তাহার পিতাকে বিপদাপন্ন করিবার মানসে দারোগা সাহেব যাহা মনে মনে স্থির করিয়াছিলেন, কার্য্যেও তাহা পরিণত হইতেছে দেখিয়া, মনে মনে অতিশয় সন্তুষ্ট হইলেন।
সেই স্থানের অনুসন্ধান আপাততঃ স্থগিত রাখিয়া হেদায়েৎ ও গ্রামের দুই চারিজন লোককে সঙ্গে লইয়া গোফুর খাঁর বাড়ীতে গিয়া উপস্থিত হইলেন।
গোফুর খাঁ সেই সময় বাড়ীতেই উপস্থিত ছিলেন; কিন্তু ওস্মান সেই সময় বাড়ীতে ছিল না। গোফুর খাঁর সহিত দারোগা সাহেবের কিয়ৎক্ষণ কথাবার্ত্তা হইলে পর, ওস্মান আসিয়া সেই স্থানে কোথা হইতে উপস্থিত হইল। তাহাকে দেখিয়া দারোগা সাহেব কহিলেন, “আপনার উপর একটী ভয়ানক নালিশ হইয়াছে। যে পর্য্যন্ত আমি অনুমতি প্রদান