৩৪
দারােগার দপ্তর, ৭৪ম সংখ্যা।
দারোগা। এখন ত কিছুই বুঝিতে পারিবেন না। এই স্ত্রীলোকের মৃতদেহ এই তালাবন্ধ গৃহের ভিতর কিরূপে আসিল?
গোফুর। আমি ইহার কিছুই অবগত নহি।
দারোগা। (ওস্মানের প্রতি) কিগো ওস্মান মিঞা, আপনিও বোধ হয়, ইহার কিছুই জানেন না?
ওস্মান। না মহাশয়! আমিও ইহার কিছুই অবগত নহি।
দারোগা। সদর বাড়ীর ভিতর তালাবদ্ধ গৃহে, পালঙ্কের উপর মৃত স্ত্রীলোকের লাস রহিয়াছে। আর আপনারা বলিতেছেন যে, আপনারা কিছুই জানেন না। দ্বারে যে দ্বারবান্ বসিয়া আছে, সেও বলিবে, ‘আমি কিছুই জানি না।’ কিন্তু কিরূপে এই স্থানে লাস আসিল, ইহার যদি সন্তোষজনক প্রমাণ আমাকে আপনার প্রদান করিতে না পারেন, তাহা হইলে জানিবেন, আপনাদিগের উভয়কেই আমি ফাঁসি কাষ্ঠে ঝুলাইব।
দারোগার কথা শুনিয়া গোফুর খাঁ চতুর্দ্দিক অন্ধকার দেখিতে লাগিলেন, এবং এই অবস্থায় কি করিবেন, তাহার কিছুই স্থির করিতে না পারিয়া সেই স্থানে বসিয়া পড়িলেন।
দারোগা। কি মহাশয়! আপনি চুপ করিয়া বসিয়া রহিলেন যে? এই লাস কিরূপে আপনার বাড়ীর ভিতর আসিল, সে সম্বন্ধে কোন কথা বলিতেছেন না কেন?
গোফুর। আপনার কথায় আমি যে কি উত্তর প্রদান করিব, তাহার কিছুই বুঝিয়া উঠিতে পারিতেছি না। যখন