ঘর-পােড়া লােক।
৩৫
ইহার কিছুই আমি অবগত নহি, তখন আমি আপনাকে আর কি বলিব?
দারোগা। কিগো দ্বারবান্ সাহেব! এ সম্বন্ধে তুমি কি বলিতে চাহ?
দ্বারবান্। দোহাই ধর্ম্মাবতার। আমি ইহার কিছুই জানি না।
দারোগা। তুমি দ্বারবান্, সর্ব্বদা তুমি দরজায় বসিয়া থাক, অথচ তুমি বলিতেছ, তুমি ইহার কিছুই জান না! এ কথা কি কেহ সহজে বিশ্বাস করিতে পারে?
দ্বারবান্। আপনি বিশ্বাস করুন, আর না করুন, আমি প্রকৃত কথাই বলিতেছি। আমি প্রকৃতই জানি না যে, এই মৃতদেহ কিরূপে বা কাহা কর্ত্তৃক এই বাড়ীর ভিতর আসিল।
গোফুর খাঁ, ওস্মান ও দ্বারবান্ যখন কোন কথা বলিল না, তখন সেই সময় দারোগা সাহেব তাহাদিগকে আর কোন কথা জিজ্ঞাসা না করিয়া, নিজের ইচ্ছামত অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হইলেন।
লাসের সুরতহাল করিয়া পরীক্ষার্থ উহা জেলার ডাক্তার সাহেবের নিকট প্রেরণপূর্ব্বক ঘটনাস্থলে বসিয়া দারোগা সাহেব কয়েকদিবস পর্য্যন্ত অনুসন্ধান করিতে লাগিলেন। এখনকার অনুসন্ধান আসামীগণকে লইয়া নহে; এখনকার অনুসন্ধান, ফরিয়াদী ও সেই স্থানের প্রজাগণের সাহায্যে এবং জমাদার সাহেবের আন্তরিক যত্নের উপর নির্ভর করিয়াই হইতে লাগিল। অর্থাৎ গোফুর খাঁ ও আঁহার পুত্ত্রের