তোমাদিগকে বিপদাপন্ন করিবার মানসে মিথ্যা কথা কহিতেছে, এ কথা সময় সময় তোমাদিগের কৌন্সলি উত্থাপিত করিলেও, তাহারা সেই সকল কথা একবারে অস্বীকার করে। অথচ তোমরাও তাহার সত্যাসত্য প্রমাণ করিতে সমর্থ হও নাই, বা তাহার চেষ্টাও কর নাই। এইরূপ নানা কারণে আমি সাক্ষিগণের সাক্ষ্য কোনরূপেই একবারে অবিশ্বাস করিতে পারি না।
“সাক্ষিগণের দ্বারায় বেশ প্রমাণিত হইয়াছে যে, হেদায়েতের নিকট হইতে খাজনা আদায় করিবার মানসে, তাহার অবর্তমানে তাহার যুবতী কন্যাকে তোমরা বলপূর্বক তাহার পরদার বাহিরে আনিয়া সর্বসমক্ষে তাহাকে যেরূপ অবমাননা করিয়াছ, সেরূপ কার্য্য ভদ্রবংশীয় কোন লোকের দ্বারা কোনরূপেই সম্ভবে না। কেবল মাত্র সামান্য খাজানা আদায় করিবার অভিপ্রায়ে তোমরা সেই যুবতীর উপর কেবল যে এইরূপ ভয়ানক অত্যাচার করিয়াছ, তাহা নহে। আমার অনুমান হয় যে, তোমাদিগের এরূপ কার্য্যে হস্তক্ষেপ করিবার অপর কোন বিশেষ উদ্দেশ্য ছিল। এইরূপে যুবতীর উপর ভয়ানক অত্যাচার করিয়াই যে, তোমরা তাহাকে নিষ্কৃতি দিয়াছ, তাহা নহে। সর্বসমক্ষে সেই অবলাকে বিনাদোষে ধৃত করিয়া, বিশেষরূপে অবমাননার সহিত কয়েক খানি গ্রামের মধ্য দিয়া তোময়া তোমাদিগের বাটী পর্যন্ত তাহাকে লইয়া গিয়াছ। এ কথা গ্রামের আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সকলেই একবাক্যে কহিতেছে। অবলা স্ত্রীলোকের উপর বিনাদোষে এরূপ অত্যাচার করা নিতান্ত পিশাচের কার্য্য ভিন্ন আর কিছুই বলিতে পারা যায় না। এইরূপ অত্যাচার করিয়াই