ঘর-পোড়া লোক।
(মধ্যম অংশ)
প্রথম পরিচ্ছেদ।
হোসেনের কথা শুনিয়া দারোগা সাহেব কহিলেন, “আপনি কি অবস্থা শুনিয়াছেন বলুন দেখি, আমিও শ্রবণ করি।”
দারোগা সাহেবের কথার উত্তরে হোসেন কহিল, “ওসমানের চরিত্র আপনি উত্তমরূপেই অবগত আছেন, এবং তাহার চরিত্রসম্বন্ধে আপনি যাহা, কহিলেন, তাহার একবিন্দুও মিথ্যা নহে। যে মৃতদেহ গোফুর খাঁর বাড়ীতে পাওয়া গিয়াছে, তাহা যে হেদায়েতের কন্যার মৃতদেহ, সে সম্বন্ধে আর কিছুমাত্র সন্দেহ নাই। শুনিয়াছি, সেই কন্যাটী বেশ রূপবতী ছিল। তাহার রূপের কথা ক্রমে ওসমানের কর্ণগোচর হইল। যুবতী রূপবতী স্ত্রীলোকের কথা শুনিয়া তিনি আর কোনরূপে স্থির থাকিতে পারিলেন না, তাহার নিকট ক্রমে লোকের উপর লোক পাঠাইয়া, তাহাকে কুপথগামিনী করিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন। ওসমানের প্রস্তাবে সে কোনরূপেই প্রথমে স্বীকৃত হয় নাই; কিন্তু অনেক চেষ্টার পর অর্থের লোভে ক্রমে সে আপন ধর্ম বিক্রীত করিতে সম্মত হইল। যে সময় হেদায়েৎ কার্য্যোপলক্ষে স্থানান্তরে গমন করিয়া