পাতা:চণ্ডীদাস - প্রচার পুস্তিকা (১৯৩২).pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

। পুকুরের এপার থেকে রামীর চোথ হ’তে যে-শর নিক্ষিপ্ত হ’তো -তাতে চণ্ডীদাসের মাছধরার চার রোজই ঘুলিয়ে যেতো; কিন্তু তাতে কি-ই বা এসে যায়। রামী চণ্ডীদাসকে ভালবাসতো। মনে মনে সে চওীঠাকুরকে পূজা করতো। বাইরে কিন্তু রামী ছিল চণ্ডীদাসের কাছে কথনও এক টী প্রহেলিকা, কথন ও বা একে বারে নির্ভরা। এমনি একদিন এক সকালে, পুকুর ঘাটে কাপড় কাচতে-কাচতে রামী আপন মনে গান গাচ্ছিল, “বঁধু কি আর বলিব তোরে, অলপ বয়সে পিরীতি করিয়া রহিতে না দিলি ঘরে" সে গান গাচ্ছিল চণ্ডীদাসে রই রচিত গীতি, আর ভাবছিল তাকেই। হঠাৎ দৃষ্টি পড়লো। ওপারে: —। হায়, ঠাকুরটা ঠিক এসে দাড়িেেছন ছিপ হাতে ওপারে, এক কাঠ-করবীর ঝোপের পাশে। আজি হঠ: রামীর চিত্তে শাশ্বত তরুণ, মনের চাঞ্চল্য জেগে উঠলো তার। সঙ্গীতে, তার ভঙ্গীতে, তার চক্ষের চাহনীতে! চণ্ডীদাসকে লক্ষ্য করে রামী চণ্ডীদাসেরই রচিত গানের একটী চরণ বার বার বিচিত্র ভঙ্গীতে গাইলো। সে যেন চণ্ডীদাসে রই কাছে জানতে চায় যে, এই যে এমন করে রামী তাকে ভালবাসলো এখন উপায় কি হবে গো? চণ্ডীদাস উত্তর খু জে পান না, উত্তর যদি বা মনে আসে কিম্ব মুখে আসে না। শেষে রামী যখন গান ছেড়ে দিয়ে রাগ করে মুখ ফিরিয়ে নিল তখন চীদাসতার উত্তর খুজে পেলেন