বেড়াইল। তার পরে একদিন সে আসিয়া আমাকে বলিল, “দামিনীকে আমাদের মধ্যে রাখা চলিবে না।”
আমি বলিলাম, “কেন।”
সে বলিল, “প্রকৃতির সংসর্গ আমাদের একেবারে ছাড়িতে হইবে।”
আমি বলিলাম, “তা যদি হয় তবে বুঝিব আমাদের সাধনার মধ্যে মস্ত একটা ভুল আছে।”
শচীশ আমার মুখের দিকে চোখ মেলিয়া চাহিয়া রহিল।
আমি বলিলাম, “তুমি যাহাকে প্রকৃতি বলিতেছ সেটা তাে একটা প্রকৃত জিনিস, তুমি তাকে বাদ দিতে গেলেও সংসার হইতে সে তত বাদ পড়ে না। অতএব সে যেন নাই এমন ভাবে যদি সাধনা করিতে থাক তবে নিজেকে ফাঁকি দেওয়া হইবে; একদিন সে ফাঁকি এমন ধরা পড়িবে তখন পালাইবার পথ পাইবে না।”
শচীশ কহিল, “ন্যায়ের তর্ক রাখাে। আমি বলিতেছি কাজের কথা। স্পষ্টই দেখা যাইতেছে মেয়েরা প্রকৃতির চর, প্রকৃতির হুকুম তামিল করিবার জন্যই নানা সাজে সাজিয়া তারা মনকে ভােলাইতে চেষ্টা করিতেছে। চৈতন্যকে আবিষ্ট করিতে না পারিলে তারা মনিবের কাজ হাসিল করিতে পারে না। সেইজন্য চৈতন্যকে খােলসা রাখিতে হইলে প্রকৃতির এই-সমস্ত দূতীগুলিকে যেমন করিয়া পারি এড়াইয়া চলা চাই।”
আমি কী-একটা বলিতে যাইতেছিলাম, আমাকে বাধা