পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{{} চতুষ্কোণ --তোমার নিজের দুর্গ ? কিসের তা জানি না। কথার কথা ? কে জানে! বুঝিতে না পারিয়া রাজকুমার একটু বিরক্তি বোধ করিতে লাগিল। জিজ্ঞাসা করিয়া কথাটা স্পষ্ট করিতেও বাধ বাধা ঠেকিতে লাগিল । সরসীর ইঙ্গিত তার জিজ্ঞাসা না করিয়াই বুঝা উচিত। সরাসীদের বাড়ির সকলেই বিয়ে বাড়িতে গিয়াছিল, কেবল কেদার সকাল সকাল ফিরিয়া শুইয়া পড়িয়াছেন। রাত তিনটায় কাশিতে কাশিতে র্তার ঘুম ভাঙ্গিবে, তার আগে ভদ্রলোকের আর কোন সাড়াশব্দ পাওয়ার সম্ভাবনা নাই । চাকর দরজা খুলিয়া দিয়া হুকুমের জন্য দাড়াইয়া রহিল। সরসী বলিল, তুই শো গে যা লছমন। একটু পুরানো ধাঁচের। বড় চারকোণা বাড়ি, ঘরগুলি প্ৰকাণ্ড । নীচের হলটিতে রীতিমত সভা বসানো চলে। এই হলে রাজকুমারকে বসাইয়া সরসী খুজিয়া পাতিয়া নানারকম খাবার আনিয়া হাজির করিল। -পেট ভরেই খাও। এখন একবার খেয়ে বাড়ি গিয়ে আর খাবার দরকার নেই। --পেট ভরে না খেলেও বাড়ি গিয়ে আর খেতাম না। সরসী । -এখনো তোমার হজমের গোলমাল হয় ? - ९८ब् छ् 5 ।। -খুব গুণের কথা হল, না ? এই বয়সে বুড়োদের মত খাওয়ার বিষয়ে সাবধান হয়ে চলতে হবে ? তুমি একেবারে একসারসাইজ কর না। সারাদিন শুয়ে বসে ঘরের কোণে থাকলে মানুষের স্বাস্থ্য ঠিক থাকে ? -সেজন্য খুব বেশী আসত না। সরসী। আসল কারণ হল, এক কালে খুব একসারসাইজ করতাম, হঠাৎ ছেড়ে দিয়েছি। চিরকালের আলসে লোকের শুয়ে বসে থাকাটা দিব্যি সয়ে যায়, হঠাৎ একদিন আলসে হলেই বিপদ ।