পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুষ্কোণ sy করে তোমার মত যারা নিজের মনের মধ্যেই বেশী করে বঁাচে । তোমার ভেতরে কোন একটা গুরুতর পরিবর্তন ঘটছে, আস্তে আস্তে আবার সামঞ্জস্য হয়ে যাবে মনে করেছিলাম । একবার ভেবেছিলাম, লভে পড়েছ বুঝি, ছেলেখেলা নয়, আসল লভ। তারপর দেখলাম, সে সব কিছু নয় । -কি করে জানলে সে সব কিছু নয় ? সে রোগের সিমটম আলাদা, আমরা চিনতে পারি । একটা মেয়েকে ভালবাসার মানে জানো ? সকলকে ভালবাসা, জীবনকে ভালবাসা, বেঁচে থাকতেই মজা লাগা। তুমি কাউকে ভালবাসো না, নিজেকে পর্যন্ত নয়। সব সময় তুমি ছটফট করছ, কি করলে একটু স্বস্তি পাবে। সর্বস্ব হারিয়ে গেলে মানুষ যেমন পাগলের মত খুজে খুজে বেড়ায় তুমিও ঠিক তেমনি ভাবে কি যেন খুজে বেড়াচ্ছি। থিয়োরী ? তুমি পাগল রাজুদা। দেহের গড়নের সঙ্গে মানুষের প্রকৃতির সম্পর্ক কি তাই টেস্ট করার জন্য কেউ এভাবে ব্যাকুল হয় ? তোমার আরও সিরিয়াস কিছু হয়েছে। এ শুধু তার একটা লক্ষণ । আমার কান্না পাচ্ছে বুঝতে পারছি ? সেটা সহজেই বুঝা যাইতেছিল। গলা ভাবী হইয়া চােখ জলে ভরিয়া আসিয়াছে। রাজকুমার তাড়াতাড়ি বলিল, কেঁদো না। সরসী । কান্না আমি সইতে পারি না । -কান্না পেলেই আমি কঁাদি না কি ? --তাই তো তোমায় ভালবাসি । --ভালোবাসে না, ছাই । পছন্দ কর । ভালোবাসলে তো বেঁচে যেতে । বাজকুমার করুণভাবে একটু হাসিল। সরাসীকে সে পছন্দ করে, স্নেহ করে, একটু ভয়ও করে। নিজের সম্বন্ধে এই স্পষ্ট ও সহজ কথাগুলি সরসী ছাড়া কারও কাছে সে শুনিতে পাইত না । অনেক দিন হইতেই সরসী জানে তার ভিতরে কিছু একটা গোলমাল