পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুষ্কোণ SO 0 জানালার কাছে গেরুয়া আস্তরণ ঢাকা একটি ঈজিচেয়ার, সরসী ওখানে বিশ্রাম করে। আস্তরণে মাথার চুলের দাগ পড়িয়াছে টের পাওয়া যায়। সারাদিন ছুটাছুটির পর ওখানে চিত হইয়া শ্ৰান্ত সরাসী না জানি কি ভাবে! দশজনের সঙ্গে সরাসীর কারবার, সর্বদা সে মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করে, দু’চারজন সঙ্গিনী সারাদিন তার আছেই। সরসীকে এই ঘরে এক কল্পনা করিতে গিয়া রাজকুমারের মনে হয়। সে যেন নিজেরই এক রহস্যময় ভাবপ্রবণতাকে প্রশ্ৰয় দিতেছে। সরসীর ফিরিতে দেরি হইতেছিল । এত রাত্রে তাকে এক বসাইয়া কি করিতেছে সরসী ? আত্মসম্বরণ করিতেছে? রাজকুমার নিজের কাছেই মাথা নাড়ে। যতই বিচলিত হোক সামলাইয়া উঠিতে DBBD BBD DD DSOOBB MOBBBDBO DDD DDSSS L DDB যখন কান্না আসিয়াছিল তখনও এক মিনিটের জন্য উঠিয়া গিয়া কঁাদিয়া অথবা কান্না থামাইয়া আসিতে হয় নাই। রাজকুমার মৃদুস্বরে ডাকে, সরসী ? পাশের ঘর হইতে সরসী সাড়া দেয়, আসছি। কেমন যেন অস্বাভাবিক মনে হয়। সরসীর গলা । নীচে অত সহজে যে-কান্না সে আটকাইয়াছিল, ও ঘরে গিয়া সত্য সত্যই তবে কি সেই কান্নাই সে কঁাদিতেছে? রাজকুমার কাঠ হইয়া বসিয়া থাকে। রিনির কাছে তার খাপছাড়া প্ৰস্তাবের বিবরণ শুনিয়া এমন আঘাত লাগিয়াছে সরাসীর মনে ? রিনিকে কথাটা বলার আগে সে শুধু ভাবিয়াছিল, এসব কানে গেলে মালতী কত কষ্ট পাইবে । সরসীর কথা তার মনেও আসে নাই। শেষ পৰ্যন্ত আঘাতটা তবে পাইল সরসী ? রাজকুমার ভাবিয়াছিল, সরসী বাহির হইতে ঘরে আসিবে। শোয়ার ঘরের দরজা খোলার শব্দে সেদিকে চাহিয়া তার চোখের পলক পড়া বন্ধ হইয়া গেল ।