পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ट्रिक SO) তুচ্ছ একটি কথারও পুনরাবৃত্তি যেন হয় না। কারও সঙ্গে তার দু’চার घभन्न अiनाएo । তিন দিন তার সঙ্গে মালতীর দেখা হইয়াছে, দশ জনের মধ্যে এবং নির্জনে । তিন দিন নিজের মধ্যে নিজেকে নিয়া মশগুল মানুষটাকে মালতী দেখিয়াছে, কিন্তু তার উপস্থিতি অনুভব করিতে পারে নাই । প্ৰথমেই এই চিন্তা তার মনে আসিয়াছিল, একি শ্যামলের জন্যে ? শ্যামল আর তার সম্বন্ধে কিছু ভাবিয়া কি রাজকুমার হঠাৎ এভাবে বদলাইয়া গিয়াছে ? রাজকুমারের পরিবর্তনের কত সম্ভবপর কারণের কথাই সে ভাবিতে পারিত, কত রাগ আর অভিমান জাগিতে পারিত উপেক্ষার মত রাজকুমারের নিবিকার খাপছাড়া ব্যবহারে, তার বদলে শ্যামলকে কারণ হিসাবে মনে টানিয়া আনিয়া বুকটা তার ধড়াসূ করিয়া উঠিল। সত্যই যেন শ্যামলের সঙ্গে তার কিছু হইয়াছে, শ্যামল যেন নিছক তার বন্ধু নয়। শ্যামলের দিক হইতে ধরিলে হয়তো সে তা নয়। হয়তো কেন, মালতী ভালভাবেই জানে শ্যামলের মনকে বন্ধুর মন বলিয়া গণ্য করা শুধু ভুল নয়,নিষ্ঠুর অন্যায়। মাঝে মাঝে শ্যামলের জন্য আজকাল জ্বালা করিয়া চোখে তার জল আসে । আজ অপমান করিলেও কাল সে বই ফেরত নেওয়ার ছলে গভীর মুখে বাড়িতে আসে, বই হাতে পাওয়া মাত্র চোখ, তার ক্রুদ্ধ করুণ ছলছল আশ্চর্য চোখ, আড়াল করিতে অভিমানী শিশুর মত মুখ ফিরাইয়া মাথা উচু করিয়া গাঁটগট করিয়া চলিয়া যাওয়ার উপক্রম করে, কিন্তু ডাকিবামাত্র ফিরিয়া আসিয়া বলে, কি বলছ শীগগির বলে, আমার কাজ আছে। তবে এটা শুধু শ্যামলের দিক। সে তো কোনদিন তাকে প্রশ্ৰয় দেয় নাই,- কাছে আসিতে আর কথা বলিতে দেওয়া যদি প্রশ্ৰয় দেওয়া না হয়। রাজকুমারের ভাবান্তর তার আর শ্যামলের সম্পর্কেরই কোন জটিল দুৰ্বোধ্য প্রতিক্রিয়া, প্রথমেই এ কল্পনা কেন তাকে চমকাইয়া দেয় ? তারপর সারাদিন উতলা করিয়া রাখে, নিদ্রাহীন রাত্রি যাপন