পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छ्कॉं করে একবার একটা সাত বছরের মেয়েকে খেতে দিয়েছিলাম, তিন মাস পরে মেয়েটার বাবা পাগলের মত তার বিয়ের জন্য পাত্র খুজতে আরম্ভ করল । গিরি মাসখানেক টনিকটা খাইতেছে কিন্তু এখনও কোন ফল হয় নাই। তবু সেমিজ ছাড়া শুধু ডুরে শাড়ীটি পরিয়া থাকার জন্য গিরি যেন সঙ্কোচে একেবারে কাবু হইয়া গেল। যতই হোক, বাঙালী গৃহস্থ ঘরের মেয়ে তো, পনরো ষোল বছর বয়স তো তার হইয়াছে। ডুরে শাড়ী দিয়া ক্ৰমাগত আরও ভালভাবে নিজেকে । ঢাকিবার অনাবশ্যক ও খাপছাড়া চেষ্টার জন্য গিরির মত অল্প অল্প বোকাটে ধরনের সহজ সরল হাসিখুশী ছেলেমানুষ মেয়েটাকে পর্যন্ত মনে হইতে লাগিল বয়স্ক পাকা মেয়েমানুষ। ছোট উঠান, অতিরিক্ত ঘষামাজায় ঝকঝকে, তবু যেন অপরিচ্ছন্ন। কলের নীচে ছড়ানো এটো বাসন, একগাদা ছাই, বাসন মাজা ন্যাত, ক্ষয় পাওয়া কাঁটা, নালার ঝাঁঝরার কাছে পানের পিকের দাগ, সিড়ির নীচে কয়লা আর ঘুটের স্তুপ, শুধু এই কয়েকটি সঙ্কেতেই যেন সযত্নে সাফ করা উঠানটি নোংরা হইয়া যাইতেছে। -cकांथों १ोंलांप्रछ ? ७८न यां७ । এক ধাপ সিড়িতে উঠিয়া গিরি দাড়াইল এবং সেইখানে দাড়াইয়া রাজকুমার যা বলিতে আসিয়াছে শুনিল। তারপর কাতরভাবে অভিমানের ভঙ্গিতে খোচা দেওয়ার সুরে বলিল, তা খাবেন কেন গরীবের বাড়িতে । -আমার ভীষণ মাথা ধরেছে গিরি। --মাথা আমারও ধরে। আমি তো খাই ! --তুমি এক নম্বরের পেটুক, খাবে বৈকি। -আমি পেটুক না। আপনি পেটুক ? সেদিন অতগুনে ক্ষীরপুলি —গিরি খিলখিল করিয়া হাসিয়া ফেলিল। ডুরে শাড়ী সংক্রান্ত কুৎসিত সঙ্কেতের বিরক্তি সঙ্গে সঙ্গে রাজকুমারের মন হইতে মিলাইয়া