পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চঞ্চুক্ষেণে গেল রোদের তেজে কুয়াশার মত। একটু গ্লানিও সে বোধ করিতে DDBDSS SDOY DBDDBD KD D B SYYLBDBY BBBD BBD মানুষগুলিকে বিচার করিতে গিয়া হয়তো আরও কতবার সে অমনি অবিচার করিয়াছে । নিজের মনের আলোতে পরের সমালোচনা সত্যই ভাল নয় । কৈফিয়ত দেওয়ার মত করিয়া সে বলিল, সন্ধ্যা থেকে ঘর অন্ধকার করে শুয়ে থাকব। কিনা, তাই খেতে আসতে পারব না । --খেয়ে গিয়ে বুঝি শুয়ে থাকা যায় না ? --খেলে মাথার যন্ত্রণা বাড়ে। আজ উপোস দেব ভাবছি। গিরি গম্ভীর হইয়া বলিল, না খেলে মাথাধরা আরও বাড়বে। শরীরে রক্ত কম থাকলে মাথা ধরে । খাদ্য থেকে রক্ত হয়। রাজকুমার হাসিয়া বলিল, তোমার সেই ডাক্তার বলেছে বুঝি, যে তোমার নাড়ী খুঁজে পায় নি ? কয়েক মাস আগে গিরির জ্বর হইয়াছিল, দেখিতে আসিয়া ডাক্তার নাকি তার কজি হাতড়াইয়া নাড়ী খুজিয়া পান নাই ! হয়তো নাড়ী খুব ক্ষীণ দেখিয়া মন্তব্য করিয়াছিলেন, গিরির পালস নাই। সেই হইতে গিরি সগৰ্বে সকলের কাছে গল্প করিয়া বেড়ায়, সে এমন আশ্চর্য মেয়ে যে তার পালস পর্যন্ত নাই। সকলের যা আছে তার যে তা নাই, এতেই গিরির কত আনন্দ, কত উত্তেজনা। রাজকুমারের কাছেই সে যে কতবার এ গল্প বলিয়াছে তার হিসাব হয় না। রাজকুমার অনেকবার তাকে বুঝাইয়া বলিয়াছে, কি ভাবে মানুষের হাটের কাজ চলে, কি ভাবে শিরায় শিরায় রক্ত চলাচল করে-অনেক কিছু বুঝাইয়া বলিয়াছে। বোকা মেয়েটাকে নানা কথা বুঝাইয়া বলিতে তার বড় ভাল লাগে। কিন্তু গিরি বুঝিয়াও কিছু বুঝিতে 58 | --সত্যি আমার নাড়ী নেই। আপনার বুঝি বিশ্বাস হয় না ? বঁচিয়া থাকার সঙ্গে নাড়ীর স্পন্দন বজায় থাকার অবিচ্ছেদ্য