পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুষ্কোণ YYO3 তুলিয়া সিড়ির মাথা পর্যন্ত আগাইয়া গিয়া তীক্ষা কণ্ঠে চীৎকার করিয়া রিনি। স্যার কে. এল-কে ডাকিতে থাকে,-বাবা ? বাবা ? ড্যাডি ? एछJांछि ? স্বস্যার কে. এল. উপরে আসিতেই হাত ধরিয়া তাকে সে টানিয়া আনে রাজকুমারের সামনে, কঁাদ-কঁাদ হইয়া বলে, রাজুদার নামে তোমায় আমি কি বলেছি বাবা ? স্যার কে. এল. শান্ত কণ্ঠে বলেন,- কই না, কিছুই তো বলনি তুমি ? -বলেছি। রাজুদ আমার বেস্ট ফ্রেণ্ড, তাই বলেছি। নিন্দে করে কিছু বলিনি। বলেছি বাবা ? -भां । दव् नि । নিশ্চিত হইয়া রাজকুমারের পাশে বসিয়া রিনি। গভীর নিঃশ্বাস ফেলিল। বিড়বিড় করিয়া আরও কত কি সে বলিতে লাগিল বুঝা গেল না। একটু অপেক্ষা করিয়া স্যার কে. এল চলিয়া গেলেন। রাজকুমার বলিল,-একটু শুয়ে থাকবে রিনি? রিনি। উদাসভাবে বলিল,-তুমি বললে শুতে পারি। —তোমার শরীর ভাল নেই, শুয়েই থাক। আমি এখুনি ঘুরে उषोंगछ् ि। —তুমি আর আসবে না। -আসব, নিশ্চয় আসব। বিনা দ্বিধায় রাজকুমার তাকে শিশুর মত দু'হাতে বুকে তুলিয়া বিছানায় লইয়া গিয়া শোয়াইয়া দিল। তার অনেক দিনের লিপস্টিক ঘষা ঠোঁটে আজ শুকনো রক্ত মাখা হইয়া আছে। সন্তৰ্পণে সেখানে চুম্বন করিয়া সে নীরবে বাহির হইয়া গেল। নিজের ঘরে স্বস্যার কে. এল টেবিলে মাথা রাখিয়া বসিয়া ছিলেন, টেবিলে তার মাথার একদিকে একটি আধা খালি মদের বোতল, অন্য দিকে শূন্য একটি গেলাস। রাজকুমারের সাড়া পাইয়া মুখ তুলিলেন।