পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

э চতুষ্কোশ সম্পর্কের কথাটা রাজকুমার অনেকবার গিরিকে বুঝাইয়া বলিয়াছে, কোনদিন তার হাত ধরিয়া নাড়ীর অস্তিত্ব প্ৰমাণ করার চেষ্টা করে নাই । আজ সোজাসুজি গিরির ডান হাতটি ধরিয়া বলিল, দেখি, কেমন তোমার নাড়ী নেই। शिशि विखऊ श्शा दलिल, ना नl, ठांड नश । ७२न नश । রাজকুমার হাসিমুখে বলিল, এই তো দিবি টপটপ, করছে পালস্ । গিরি। আবার বলিল, থাক না এখন, আরেক দিন দেখবেন। গিরির মুখের ভাব লক্ষ্য করিলে রাজকুমার নিশ্চয় সঙ্গে সঙ্গে তার হাত ছাড়িয়া দিয়া তফাতে সরিয়া যাইত এবং নিজের পাকা মনোয় আলোতে জগতের সহজ সরল মানুষগুলিকে বিচার করিবার জন্য একটু আগে অনুতাপ বোধ করার জন্য নিজেকে ভাবিত ভাবপ্রবণ। কিন্তু গিরির সঙ্গে তামাশা আরম্ভ করিয়া অন্য দিকে তার মন छिब्ल नां । হাসির বদলে মুখে চিন্তার ছাপ আনিয়া সে বলিল, তোমার পালস্ তো বড় আস্তে চলছে গিরি। তোমার হাট নিশ্চয় খুব দুৰ্বল । Çiff ডুরে শাড়ীর নীচে যেখানে গিরির দুর্বল হার্ট স্পন্দিত হইতেছিল, সেখানে হাত রাখিয়া রাজকুমার স্পন্দন অনুভব করার চেষ্টা করিতে লাগিল। গিরির মুখের বাদামী রঙ প্ৰথমে হইয়া গেল পাশুটে, তারপর হইয়া গেল কালোটে । একে আজ গায়ে তার সেমিজ নাই, তারপর চারিদিকে নাই মানুষ। কি সর্বনাশ ! -ছি ছি ! এসব কি ! রাজকুমার আশ্চর্য হইয়া বলিল, কি হয়েছে ? গিরি দমক মারিয়া তার দিকে পিছন ফিরিয়া, একবার হেঁচটি খাওয়ার উপক্ৰম করিয়া তারতর করিয়া সিড়ি বাহিয়া উপরে উঠিয়া গেল। রাজকুমার হতবাক হইয়া চাহিয়া রহিল। একি ব্যাপার ?