পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՏՅԱ চতুষ্কোণ আসে না। মাসকাবারে তার স্বামী বাসা তুলিয়া দিয়া সাময়িকভাবে আশ্রয় নেয় বোডিং-এ। রাজকুমার বুঝিতে পারে যে সোজাসুজি তার বাড়ি ছাড়িয়া অন্য বাড়িতে উঠিয়া যাইতে মনোরম সঙ্কোচ বোধ করিয়াছে। বোডিং-এর ভাত খাইয়া স্বামী তার রোগ হইয়া যাইতেছে দেখিয়া দু’এক মাস পরেই মনোরমা শহরে অন্য বাড়িতে নীড় বাধিবে । হয়তো কালীর শুভবিবাহের পর । ইতিমধ্যে যদি কালীর বিবাহ না-ও হয়, কয়েক মাসের মধ্যে হইবে সন্দেহ নাই। মনোরম তখন একদিন এবাড়িতে আসিবে, কালীর বিবাহে তাকে নিমন্ত্রণ করিতে । আঘাত করিতে আসিয়া মনোরমার চোখ যদি সেদিন হঠাৎ ছলছল করিয়া ওঠে ? বিষাদ ও হতাশায় আবার যদি মুখখানা তার কালো আর বঁাকা হইয়া যায়? রোমাঞ্চকর বিষাদের অনুভূতিতে রাজকুমারের সর্বাঙ্গে শিহরণ বহিয়া যায় । মালতীর সঙ্গে তার প্রায় দেখাই হয় না । মালতীও সাড়া শব্দ দেয় না। সরসীর কাছে রাজকুমার তার খবর পায়। আপনা হইতে সব ঠিক হইয়া যাইবে জানিলেও মালতীর সম্বন্ধে রাজকুমারের ভাবনা ছিল। আপনা হইতে সব ঠিক হইয়া যাওয়ার প্রক্রিয়াটি তো সহজ বা সংক্ষিপ্ত হইবে না। মালতীর পক্ষে, কষ্টকর দীর্ঘ মানসিক বিপর্যয়ের মধ্যে তাকে কতদিন কাটাইতে হইবে কে জানে ? তার সাহায্য পাইলে এই দুঃখের দিনগুলি হয়তো মালতীর আরেকটু সহনীয় হইত কিন্তু সে সাহস আর রাজকুমারের নাই। নিজের সম্বন্ধে তার একটা আতঙ্ক জন্মিয়া গিয়াছে। কয়েকটা দিন অত্যন্ত উদ্বেগের মধ্যে কাটাইয়া একদিন সে সরসীর সঙ্গে এ বিষয়ে পরামর্শ করিয়াছিল। অকপটে সমস্ত কথা খুলিয়া বলিয়া প্ৰায় করুণ সুরে প্রশ্ন করিয়াছিল, --কি করি বল তো সরসী ? সরসী বলিয়াছিল,-তোমার কিছু করতে হবে না। আমি সব ঠিক बाट 6न्द । O