পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চক্ষুকোণ SO ব্যাপার বুঝা গেল। কয়েক মিনিট পরে উপরে গিয়া। গিরির মা পাটিতে পা ছড়াইয়া হাতে ভর দিয়া বসিয়া আছেন। দেখিলেই বুঝা যায়, সবে তিনি শয়নের আরাম ছাড়িয়া গা তুলিয়াছেন,- বসিবার ভঙ্গিতেও বুঝা যায়, মুখের ভঙ্গিতেও বুঝা যায়। মানুষটা একটু মোটা, গা তোলার পরিশ্রমেই বোধ হয় একটু হাঁপও ধরিয়া 衍孤忆豆1 রাজকুমার বলিতে গেল, গিরিগিরির মা বাধা দিয়া বলিলেন, লাজ করে না ? বেহায়া নচ্ছার কোথাকার ! এমন সহজ সরল ভাষাও যেন রাজকুমার বুঝিয়া উঠিতে পারিল नों हैं कब्रिश bांश्ाि झश्लि । গিরির মা আবার বলিলেন, বেরে হারামজাদা, বেরো আমার বাড়ি থেকে । গিরির মার রাগটা ক্রমেই চড়িতেছিল। আরও যে কয়েকটা শব্দ তার মুখ দিয়া বাহির হইয়া পড়িল সেগুলি সত্যই অশ্রাব্য। রাজকুমার ধীরে ধীরে রসিকবাবুর বাড়ি ছাড়িয়া বাহির হইয়া আসিল, ক্ষুব্ধ আহত ও উদভ্ৰান্ত রাজকুমার। ব্যাপারটা বুঝিয়াও সে যেন ভাল করিয়া বুঝিয়া উঠিতে পারিতেছিল না। হঠাৎ যেন একটা যুক্তিহীন ভূমিকাহীন আকস্মিক দুর্ঘটনা ঘটিয়া গিয়াছে। তার কেবলি মনে হইতে লাগিল, দামী জামা কাপড় পরিয়া খুব উৎসাহের সঙ্গে সে বাড়ির বাহির হইয়াছিল, হঠাৎ কি ভাবে যেন পচা পাক-ভরা নর্দমায় পড়িয়া গিয়াছে। এইরকম একটা আকস্মিক দুর্ঘটনার পর্যায়ে না। ফেলিয়া এ ব্যাপারটা যে সত্য সত্যই ঘটিয়া গিয়াছে একথা কল্পনা করাও তার অসম্ভব মনে হইতেছিল । নিছক দুর্ঘটনা-কারও কোন দোষ নাই, দোষ থাকা সম্ভব নয়। ভুল বুঝিবার মধ্যেও তো যুক্তি থাকে মানুষের, ভুল বুঝিবার স্বপক্ষে