পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুষ্কোণ ভালর জন্যই বলা। আমি কিছু ভেবে বলছি না কথাটা, শুধু তোমাকে সাবধান করে দিচ্ছি। জেনে শুনে যদি দরকার মত তোমায় সাবধান করেই না দিলাম, আমি তবে তোমার কিসের দিদি ? অতি বেশী যখন তখন গিরিদের বাড়ি আর যেও না । -কেন ? -আহা, কেমন ধারা মানুষ ওরা তা তো জান ? গেয়ে অসভ্য মানুষ ওরা, কুলি মজুরদের মত ছোট মন ওদের, সব কথার বিচ্ছিরি দিকটা আগে ওদের মনে আসে। বড় হলে ভাই বোন যদি নির্জনে বসে গল্প করে, তাতেও ওরা ভয় পেয়ে যায়। বড়সড় একটা মেয়ে যখন বাড়িতে আছে, কি দরকার তোমার যখন তখন ওদের বাড়ি যাবার ? বিপদে পড়ে যাবে একদিন । —ওইটুকু একটা মেয়ে মনােরমা বাধা দিয়া বলিল, ওইটুকু মেয়ে মানে ? আজি মেয়ের বিয়ে দিলে ওর মা একবছর পরে নাতির মুখ দেখবার আশায় থাকবে। ওরা তো আর তোমাদের মত মানুষ নয় রাজু ভাই ষে ওইটুকু দেখায় বলেই ভাববে। আজও মেয়ের ফ্রক পরে থাকবার বয়েস আছে। যেমন ধরে ও বাড়ির রিনি, গিরির চেয়ে বয়সেও বড় এমনিও বড় দেখায় ওকে । সেদিন রিনিকে এক নিয়ে তুমি বায়স্কোপ দেখাতে গেলে, একদিন গিরিকে নিয়ে যাবার কথা বলে দেখো তো ওর বাপ মা কি বলে ? মনোরমার মুখের গাম্ভীৰ্য একেবারেই উপিয়া গিয়াছে, তার সুন্দর মুখখানিতে থমথম করিতেছে কথা বলার আবেগ । --তারপর ধর সরসী । ওর বাড়ন্ত গড়ন দেখলে আমারি ভয় করে, সেদিন তুমি ওর হাত ধরে টানছিলে

  • -उांभांsiों कड़छिब्लांभ ।

--তামাশাই তো করছিলে । কিন্তু একদিন তামাশা করতে গিয়ে ওমনি ভাবে গিরির হাত ধরে টেনো দিকি কি কাণ্ডটা হয় ! সরসীর