পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুষ্কোণ க v- ܙܪ বাপ মা হাসছিল, গিরির বাপ-মা তোমায় জ্যান্ত পুড়িয়ে মারবে। তুমি তো আর সামলে সুমলে চলতে জান না নিজেকে, তাই বলছিলাম, নাই বা বেশী মেলামেশা করলে ওদের সঙ্গে ? খোকাকে শোয়াইয়া দিয়া নিজেও মনোরমা কান্ত হইয়া তার পাশে শুইয়া পড়িল । -কালীকে আনতে যাবে না। রাজু ভাই ? -RK ঘরে গিয়া রাজকুমার বিছানায় শুইয়া পড়িল। মাথা ধরার কথাটা সে আবার ভুলিয়া গিয়াছে। শুইয়া শুইয়া চোখ বুজিয়া সে আকাশপাতাল ভাবিতে থাকে। আর থাকিয়া থাকিয়া মনে হয়, তবে কি গিরি আর গিরির মার কোন দোষ ছিল না, সে-ই বোকার মত, একটা অসঙ্গত কাজ করিতে যাইয়া তার স্বাভাবিক ফল ভোগ করিয়াছে ? মনোরম পর্যন্ত জানে যে গিরির হাত ধরিয়া টানার অপরাধে তাকে জ্যান্ত পুড়াইয়া মারাটাই গিরির বাপ-মারি পক্ষে স্বাভাবিক হইবে। তাই যদি হয়, এমনি সব রীতিনীতি চালচলনের মধ্যে এমনি সব মনের সাহচর্যে গিরি। যদি বড় হইয়া থাকে। আর দশটি মেয়ের মত, তবে তো সে খাপছাড়া কিছুই করে নাই, ও অবস্থায় তার মত আর দশটি মেয়ে যা করিত সেও তাই করিয়াছে। এবং মনোরমার কথা শুনিয়া তো মনে হয় ওরকম আর দশটি মেয়ের অভাব দেশে নাই। বুঝিয়া চলিতে না পারিয়া সেই কি তবে অন্যায় করিয়াছে ? কিন্তু রাজকুমারের মন সায় দিতে চায় না। ব্যাপারটা যদি সংসারের সাধারণ নিয়মের বহিভূত খাপছাড়া একটা দুৰ্ঘটনা নাও হয়, অসাধারণ কোন কারণে ভুল করার বদলে আর দশটি মেয়ের মত নিজের রুচি মাফিক সঙ্গত কাজই গিরি করিয়া থাকে, গিরির মারা গালাগালিটাও যদি সংসারের সাধারণ চলতি ব্যাপারের পর্যায়ে গিয়া পড়ে, তবে তো সমস্ত ব্যাপারটা হইয়া দাড়ায় আরও ভয়ানক, আরও কদৰ্য ! এমন