পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুক্ষোণ Voto স্যার কে. এল-ও হাসিলেন, কিছু কিছু খাপ খায় বৈকি। বয়স তো হয়েছে, আমি হলাম। অতীতের জীব, তোমাদের কাছে আমি এখন বুড়ো, স্থিতি লাভ করেছি। আমাকে প্রেসিডেন্টের আসনে বসিয়ে নিশ্চিন্ত মনে চপলতা করা কত সুবিধা বলতো ! -চপলতা, স্যার কে. এল. ? —চপলতা রাজু, নিছক চপলতা। তোমাদের কপাল ভাল, এত সহজে এত সস্তায় চপল হতে পার । আমার আধ বোতল শ্যাম্পেন দরকার হয়, তিন চারটা ককটেল। তাও কি তোমাদের মত চপলতা আসে! হয় দার্শনিক চিন্তা আসে, নয় ঘুম পায়। স্বস্যার কে. এল.-এর বাড়ির দরজায় গাড়ি দাড়াইল । স্যার কে. এল. কিন্তু নামিলেন না । -এক কাপ কফি খেয়ে যাবে রাজু ? -কফি ? কফি খেলে রাত্রে ঘুম হয় না। রাজকুমার নামিয়া গেল। আসরে তার ভাল লাগে নাই, বক্তৃতা শুনিয়া সকলে খুব হৈ চৈ করিয়াছে বটে। শেষের দিকে, নিজে কিন্তু সে ভুলিতে পারে নাই আগাগোড়া সবটাই তার ফাকি ; সকলকে ভাওত দিয়া সে হাততালি পাইয়াছে এবং একটু চিন্তা করে এমন যারা আসরে ছিল তাদের কাছে তার ফঁাকি ধরা পড়িয়া গিয়াছে। সাফল্যের আনন্দের সঙ্গে সে তাই লজ্জাও বোধ করিয়াছিল, এখনও করিতেছে। শ্যামলের ব্যবহারেও মনটা বড় বিগড়াইয়া গিয়াছিল। তবু সেখানে যেন বাতাসে পাখা মেলিয়া উড়িয়া বেড়ানোর মত হাল্কা মনে হইয়াছিল নিজেকে। তখন বুঝিতে পারে নাই। এখন স্যার কে. এল.-এর সঙ্গে এতটুকু পথ গাড়িতে আসিয়া এমন ভারি বোধ হইতেছে নিজস্বতাকে যে সাধ যাইতেছে ফুটপাতে গা এলাইয়া শুইয়া পড়ে । მ স্যার কে. এল. ড্রাইভারকে হুকুম দিলেন, ক্লাব। বাড়ির দরজা পৰ্যন্ত আসিয়া স্যার কে, এল, ফিরিয়া গেলেন। ক্লাবে