পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুষ্কোশ অস্বস্তির যন্ত্রণা জুটিবে না। পড়ানো তার কাজ-বেতনভোগীর নিছক কর্তব্য পালন করা। সেটুকু করিলেই চলিবে। বাহিরে আবার যখন বৃষ্টি নামিল, ঘরের মধ্যে রাজকুমার বোধ হয় তখন ভুলিয়াই গেল কোথায় বসিয়া কাকে সে পড়াইতেছে। শুকনো কথার শব্দ জলের শব্দে খানিকটা চাপা পড়িয়া গেল। ভাল করিয়া শুনিবার জন্য টেবিলের উপর হাত রাখিয়া মালতী সামনের দিকে আরও বুকিয়া বসিল । রাজকুমার হঠাৎ থামিয়া গেল, সন্দেহ প্ৰকাশ করিয়া বলিল, তুমি কিছু শুনছো না মালতী ! -শুনছি ! সত্যি শুনছি। ! কি করে জানলেন শুনছি না ? -আমি জানতে পারি । মালতী নীরবে আস্তে আস্তে কয়েকবার মাথা নাড়িল । অর্থাৎ সেটা সম্ভব নয়, কিছু জানিবার ক্ষমতা রাজকুমারের নাই। রাজকুমার শ্রান্তভাবে একটু হাসিল-যাকগে, আজ পড়াতেও ७ाव्ज व्गi?idछ क्रा । -उांव्न व्लांशgछ ना ? মালতী আশ্চর্য হইয়া জিজ্ঞাসু চােখ তুলিল। অর্থাৎ তাই যদি হয়, এতক্ষণ মশগুল হইয়া তুমি তবে কি করিতেছিলে ? রাজকুমার চেয়ারটা পিছনে ঠেলিয়া দিয়া উঠিয়া দাড়াইল । পুবের দেয়াল ঘেষিয়া দুটি বই-ভরা আলমারি অযথা গাম্ভীর্যের ভঙ্গিতে দাড়াইয়া আছে, রাজকুমারের মনের গাম্ভীর্যের রূপধারা ব্যঙ্গের মত । হাজার মানুষের মনের যে গঞ্জনাকে প্ৰাণপণে সংগ্ৰহ করিয়া সে মনকে ভারি করিয়াছে, আলমারির এই বইগুলির চেয়ে তার ওজন কম নয়। চাপ দেওয়া ওজন-বুকের উপর বইগুলি স্তুপ করিয়া রাখিলে শুধু কাগজের যে চাপে পাজর ভাঙ্গিয়া যাইতে চাহিবে, অদেহী অক্ষরের core viši Cbo viš'