পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8“ግ চতুষ্কোণ আগাইয়া আবার আগের জায়গায় গিয়া দাড়ায়। যেন ঠিক করিতে পারিতেছে না। রাজকুমারের বাড়িতে ঢুকিবে কি ঢুকিবে না। ভিতরে গিয়া তাকে রাজকুমারের একবার ডাকিতে হয়। শ্যামল আগেও কয়েকবার রাজকুমারের কাছে আসিয়াছে, মনোরম তাকে চিনিত । তাকে দেখিবামাত্র সে বলিয়া উঠে, ভিজে চুপচুপে হয়ে এত রাতে তুমি কোথা থেকে এলে ভাই ? ও কালী, কালী, তোর রাজুদার ঘর থেকে একখানা শুকনো কাপড় এনে দে শীগগির। গিরির সমবয়সী একটি মেয়ে আসিয়া দাড়ায়। গিরির চেয়ে তার স্বাস্থ্য ভাল, বোধ হয় সেইজন্যই তার মুখে কচি ভাবের খানিকটা স্নিগ্ধ লাবণ্য আছে। মনোরমার তাগিদ সহিতে না পারিয়া রাজকুমার সরসীর সভার পরদিন সকালে দক্ষিণেশ্বরে গিয়া কালীকে নিয়া আসিয়াছে। রাজকুমারের সঙ্গে এত বড় ( বার তের কম বয়স নয়। গৃহস্থ ঘরের মেয়েদের ) মেয়েকে পাঠানো সম্বন্ধে নিশ্চিন্ত করিয়া মনোরম আগেই মাসীর কাছে পত্ৰ দিয়াছিল, তবু কালীর মা মেয়েকে এক ছাড়িয়া দিতে সাহস পায় নাই। কালীর সঙ্গে তার সাত বছরের একটি ভাইও আসিয়াছে। काठी बल, कि मिनि ? মনোরমা বলে, বললাম যে ? শুকনো কাপড় নিয়ে আয় রাজুদার ঘর থেকে । মনোরমার উদারতায় মনে মনে রাজকুমারের হাসি পায়। শ্যামলের জামা কাপড় ভিজিয়া গিয়াছে, আহা, অসুখ যদি করে ছেলেটার ?-- ভাবিয়া বড় ব্যাকুল হইয়াছে কিনা মনোরম-তাই, হাতের কাছে আলনাতে স্বামীর শুকনো কাপড় আলনাতেই থাক, রাজকুমারের ঘর হইতে কাপড় আনা হোক একখানা কালীকে দিয়া । এত হিসাব করিয়া অবশ্য মনোরমা কথাটা বলে নাই । তার মনেও আসে নাই এ মানে। এটা শুধু অভ্যাস।