পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুষ্কোণ । ܘ ܦ8 শ্যামলের কথা শুনিয়া রাজকুমার কিছুমাত্র আশ্চৰ্য হইল না। এই রকম প্ৰশ্নই সে প্ৰত্যাশা করিতেছিল । -একথা জিজ্ঞাসা করছি কেন ? --আপনি তা বুঝতে পারছেন ! --না, বুঝতে পারছি না। তুমি মালতীর অভিভাবক নও, আত্মীয়ও নও । আমাকে এ প্রশ্ন করার অধিকার তোমার নেই। -उपांभांश उपक्षिकाल यांछि । শ্যামল এমন জোরের সঙ্গে কথাটা ঘোষণা করিল যে কথাটার সহজ মানে বুঝিতে রাজকুমারের একটু সময় লাগিল। মনে হইল সত্য সত্যই মালতী সম্পর্কে অন্য অধিকারও বুঝি শ্যামলের আছে। -কিসের অধিকার তোমার ? তুমি নিজে মালতীকে বিয়ে করতে চাও, এই অধিকার ? শ্যামলের মেরুদণ্ড, সিধা হইয়া গেল গেল। সোজা রাজকুমারের চোখের দিকে চাহিয়া স্পষ্ট উচ্চারণে প্ৰত্যেকটি কথায় জোর দিয়া সে বলিল, বিয়ে করি বা না করি, ওকে আমি স্নেহ করি। আপনাদের ওসব কথার মারপ্যাচ আমি বুঝি না, সোজাসুজি এই বুঝি যে মালতীর এতটুকু ক্ষতি হলে আমার সহ্য হবে না। সেই দাবীতে আমি আপনাকে স্পষ্ট একটা কথা জিজ্ঞাসা করেছি, সোজা ভাষায় জবাব न् ि। তুমি বড় ছেলেমানুষ শ্যামল বাজে কথা বলে। লাভ কি ? তারপর দু’জনেই কিছুক্ষণের জন্য চুপ করিয়া গেল। শ্যামল খালি গায়ে বসিয়া আছে, রাজকুমারের শুকনো কাপড়খানা শুধু সে পরিয়াছে, জামা গায়ে দেয় নাই। প্রয়োজনের বেশী সামান্য একটু ভদ্রতাও সে যেন রাজকুমারের কাছে গ্ৰহণ করিতে চায় না । সুন্দর ছিপছিপে গড়ন তার দেহের, বোধ হয় অল্পদিন আগে ব্যায়াম আরম্ভ করিয়াছে, পেশীগুলি স্পষ্ট ও পুষ্ট হইয়া উঠিতেছে কিন্তু 8