পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छछूका। er সে চুপ করিয়া বসিয়া রইল। সে দিন অকথ্য গালাগালি দিয়াই তবে গিরীন্দ্ৰনন্দিনীর জননী তাকে রেহাই দেয় নাই, প্ৰায়শ্চিত্তের জেরটা যাতে আরও টানিয়া চলিতে হয় তার ব্যবস্থাও করিয়াছে । গিরীন্দ্ৰনন্দিনীর সঙ্গে তার কুৎসিত ব্যবহারের সংবাদ আরও কত লোকে জানিয়াছে কে জানে । জীবনে এই প্ৰথম মিথ্যা দুর্নামের সংস্পর্শে আসিয়া রাজকুমারের মন যেন দিশেহারা হইয়া গেল। কতবার ভাবিল যে, লোকে যা খুশী ভাবুক তার কি আসিয়া যায়, সে তো কোন অন্যায় করে নাই! সে কেন জালাবোধ করিবে তার সম্বন্ধে কে কোথায় কি মিথ্যা ধারণা পোষণ করিতেছে ভাবিয়া ? কিন্তু জ্বালা সে বোধ করিতেই লাগিল । অন্যায় না করুক, সেদিন ভুল সে করিয়াছিল, বোকামি করিয়াছিল। ভুলের শাস্তিও মানুষকে পাইতে হয় বৈকি। গরম চায়ে পর্যন্ত মুখ পুড়িয়া যায়। এ দুর্নামের প্রতিবাদে তার কিছু বলিবার উপায় পর্যন্ত নাই। শ্যামলকে সমস্ত ব্যাপারটি খুলিয়া বলিলেও সে বুঝিত না, বিশ্বাসও করিত না । শ্যামলের মত অন্য সকলেও বুঝিবে না, বিশ্বাস করিবে: না । নীরবে এ অপবাদ তাকে মানিয়া নিতে হইবে । এমনি যখন মানসিক অবস্থা রাজকুমারের, অবরুদ্ধ ক্রোধের উত্তেজনায় ভিতরটা যখন তার ফেনার মত ফাটিয়া যাইতে চাহিতেছে আর সমস্ত জগতের উপর ভয়ঙ্কর একটা প্ৰতিশোধ নেওয়ার অন্ধ কামনা জাগিয়াছে, তখনকার মত জগৎকে পাওয়া না গেলেও হাতের কাছে যাকে পাওয়া যায় তাকেই আঘাত করার জন্য ছটফট করিতেছে, ঘরে তখন আসিল কালী । বলিল, দিদি ডাকছে, খেতে চলুন। গিরির সমবয়সী কালী। গিরির মত সেও সঙ্কীর্ণ আবেষ্টনীর মধ্যে বর্বরতার আবহাওয়ায় মেছুনি মায়ের কোলে মানুষ হইয়াছে। গিরিকে নিয়া একটা বদনাম যখন তার রািটয়াছে, কালীকে নিয়া আরেকটা