পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5ङ्कां 棘8 হৃদস্পন্দন সে পরীক্ষা করিতে গেল এক হাতে তাকে বেষ্টন করিয়া ধরিয়া। হতভম্ব ভাবটা কাটিয়া যাইতে যতক্ষণ সময় লাগে ততক্ষণ কালী নিস্পন্দ হইয়া রহিল, তারপর রাজকুমারের হাত সরাইয়া দিয়া নিজেও একটু তফাতে সরিয়া গেল। সেখানে দাড়াইয়া শঙ্কিত প্রশ্ন আর মৃদু ভয় ও ভৎসনা দু'চোখে ফুটাইয়া রাজকুমারের দিকে চাহিয়া রহিল। এক মুহূর্ত পরে ছুটিয়া ঘর ছাড়িয়া চলিয়া গেল। রাজকুমার ভাবিল, এবার মনোরম আসিবে। আসিয়া অকথ্য গালাগালি শুরু করিয়া দিবে। -মনোরম আসিল। অনুযোগও দিল। -খাবে না। রাজু ভাই ? -ईंJा, शांझे । কালী নিশ্চয় মনোরমাকে কিছু বলে নাই। কালী ঘর হইতে ছুটিয়া বাহির হইয়া যাওয়ার যতটুকু সময়ের মধ্যে মনোরম তাকে খাইতে ডাকিতে আসিয়াছে তার মধ্যে এত বড় একটা গুরুতর কথা কালীর বলা ও মনোরমার শোনা সম্ভব নয় । গিরির মত একনিঃশ্বাসে সমস্ত বিবরণ হয় তো কালী জানাইতে পারিবে না । ব্যাপারটার একটু আভাস দিয়াই তার মুখে আর কথা ফুটিবে না। মনােরমাকে তখন খুটিয়া খুটিয়া জেরা করিয়া সব জানিতে হইবে। তাতে কিছু সময় লাগিব।ার কথা । মনোরমার গালাগালিট। তবে ভবিষ্যতের জন্য তোলা রহিল ? খাইতে বসিয়া রাজকুমার ঘাড় হেঁট করিয়া খাইয়া যায়। কাল মনোরমার হুকুমে কালী পরিবেশন করিয়াছিল। মনোরম কি আজও তাকে ডাকিবে ? ডাকিলে কালী যদি না আসে ? ব্যাপার বুঝিতে গিয়া মনোরমা যদি সমস্ত ব্যাপারটাই বুঝিয়া আসে ? কি বিপদেই মনোরম পড়িবে তখন ! একটা মানুষকে খাওয়াইতে বসাইয়াছে, তার খাওয়াও নষ্ট করিতে পরিবে না, মনের রাগ চাপিয়াও রাখিতে পরিবে না ।