পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুষ্কোণ হালকা হইয়া গিয়াছে। কথা বলিতে বলিতে সরসী হঠাৎ জিজ্ঞাসা করিল, আচ্ছা, তোমার ও থিয়োরী কি শুধু মেয়েদের সম্বন্ধে খাটে ? ছেলেদের বেলা খাটে না ? শুধু মেয়েদের নিয়ে পরীক্ষা করার তোমার ख्ाङ छाi@श् 6कका ७नि ? চায়ের কাপে চুমুক দিয়া রাজকুমার বলিল, ছেলেদের বেলাও খাটে। নিয়ম একই। তবে পুরুষের দেহের সঙ্গে মনের সম্পর্ক অতটা ঘনিষ্ঠ নয়। দেহের গড়ন অনুসারে মনের যে বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত সেটা একেবারে চাপা পড়ে যেতে পারে, থেকেও না-থাকার সামিল হয়ে যায়। মেয়েদের ব্যাপার অন্যরকম । --তারা দেহসর্বস্ব বলে ? না, তাদের দেহ অন্যরকম বলে। দেহের অনুভূতি অন্য রকম বলে। দেহের উপযোগিতা অন্যরকম বলে। আরও অনেক কিছু আছে। বিদায় দেওয়ার সময় সরসী বলিল, কাল তোমার লিস্টের সকলকে আসতে বলব, তুমি কিন্তু ওদের জানিও না শখটা তোমার। গ্ৰপ ফটো তোলার শখ আমার, তোমায় দিয়ে আমি ফটো তোলাচ্ছি। বুঝতে পারছি ? পরদিন কালীকে সঙ্গে করিয়া রাজকুমার সরসীর বাড়ি গেল। তিনটি মেয়ে আসিতে পারে নাই। তবু চোদটি মেয়ে আসিয়াছে, কালী আর সরাসীকে ধরিলে ষোল জন। এতগুলি মেয়েকে একসঙ্গে পরীক্ষা করার সুযোগ পাইয়াও রাজকুমার খুশী হইতে পারিল না। এতগুলি দেহ আর মনের বৈশিষ্ট্য মিলাইয়া দেখা রাজকুমারের পক্ষেও সম্ভব ছিল না। শুধু বকথা লিয়াই সময় কাটিয়া গেল। জীবনে রাজকুমারের অনেকবার অনেকরকম কোক আসিয়াছে। এটা অবশ্য রাজকুমারের একচেটিয়া নয়, নেহাত গোবেচারী শ্লথ মানুষেরও ঝোঁক আসে। কোন কোন মানুষ বোকের মাথায় কখনো কোন কাজ