পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vb চতুষ্কোণ করে না, ভাল কাজও নয়। দুঃখ আর অশান্তি দূর করিয়া পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে সুখী করার ঝোঁকও যদি এ সমস্ত মানুষের চাপে, DBDBDB BD DBBDB DDD DBB DDDB DDS DDDD LL পৰ্যন্ত মনে মনে শুধু বিবেচনা করিয়া চলিবে কাজটা উচিত কি না। আর লাভ লোকসানের খাতিয়ানটা কি এবং নিজের সংযমের বাহুল্যে গভীর আত্মপ্ৰসাদ অনুভব করিবে। সংযম যেন নিছক ধীরতা ও শৈথিল্যে । হঠাৎ-জাগা সমস্ত ইচ্ছাকে রাজকুমার অবশ্য আমল দেয় না, পাগল ছাড়া সেটা কারো পক্ষে দেওয়া সম্ভবও নয়। তবে বোকের মাথায় কাজ করার স্বভাব তার আছে। অনেক পুরস্কার ও শাস্তি, আনন্দ ও বিষগ্নতা এমনিভাবে সে অর্জন করিয়াছে। এবার যে সৃষ্টিছাড়া খেয়ালটি তাকে আশ্রয় করিল, আবির্ভাবটা তার আকস্মিক নয়। তবু এ খেয়ালটি ঝোঁকের মতই প্ৰবল হইয়া উঠিল। প্ৰথমে মনের কোণে কথাটা একবার শুধু উকি দিয়া গেল, ভাঙ্গা মেঘের মত মনের আকাশের এক টুকরা অসঙ্গত আলগা চিন্তা। নিজের কাছেই যেন রাজকুমার লজ্জাবোধ করিল। এসব চিন্তা কোথা হইতে ভাসিয়া আসে, আবার কোথায় চলিয়া যায়। এ চিন্তাটিরও ধীরে ধীরে মনের দিগন্তে মিলাইয়া যাওয়া উচিত ছিল, তার বদলে দিন দিন যেন স্পষ্টতর ও অবাধ্য হইয়া উঠিতে লাগিল । শীতের আমেজে দেহের সঙ্কোচন প্রক্রিয়া অনুভব করা যায়, কালীর হাতে সেলাই-করা পাড়ের কঁথা গায়ে টানিয়া শেষ রাত্রে বড়ই আরাম বোধ হয়। আধা ঘুম আধা জাগরণের সেই যুক্তিহীন নীতিহীন নিম্পাপ জগতের অবাস্তব অবলম্বনে একটি অপরূপ নিরাবরণ দেহ আলগোছে ভাসিতে থাকে। বেশী দূরে নয়, হাত বাড়াইলে বোধ হয় স্পর্শ করা যায়, তবু অস্পষ্ট। কোন জীবনের উপযোগী এ দেহ, ভিতরের প্রকৃতির কোন পরিচয় আঁকা আছে এই দেহের বাহিরে, কিছুই টের পাওয়া যায় না। ঘুম ভাঙ্গিবার পর ছায়া মিলাইয়া যায়,