পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুষ্কোণ । ፱”8 YBDSS DBDDJDL D BDBD DBBD BOD BB D S BB ভাবিয়াছিল, মনোরম বুঝি ঠাণ্ডা, মন তার বরফের দেশ। কল্পনার শীতল মনোরমা তার ভালবাসাকে জুড়াইয়া দিয়াছিল। তাছাড়া আর কি কারণ থাকিতে পারে তার না। আসার, মনোরমাকে বিবাহ না করার ? সাড়ে ন’টার সময় কালী চা দিতে গিয়াছে, সাড়ে দশটা বাজিয়া গেল। মনোরমার বুক চিপ টিপ করে। এত দেরি !! খাইতে আসার তাগিদ দিতে রাজকুমারকে ডাকিতে গিয়া কালীকে বাঁচানোর জন্য মনটা ছটফট করে মনোরমার । কিন্তু সে উঠিতে পারে না । শুধু আজের জন্য বঁাচাইতে গিয়া সে যদি কালীর চিরদিনের মরার ব্যবস্থা করিয়া বসে । তারপর কালীর তীক্ষ হাসির শব্দ কানে আসে। মনোরম জোরে নিশ্বাস ফেলে। সর্বাঙ্গে তার কয়েকবার শিহরণ বহিয়া যায়। পিাড়িটা ঠেলিয়া দেয়ালের কাছে গিয়া ঠেস দিয়া বসিয়া সে চোখ বোজে। হাসি । আর ভয় নাই। যেখানে হাসি আছে সেখানে কোন ভয় नांदे । রাজকুমার একদিন সন্ধ্যার পর মালতীর খোঁজ করিতে গেল। এইটুকু পথ যাইতেই চােখে পড়িল আলো আর দেবদারু পাতায় সাজানো তিনটি বাড়ি । ছাতে সামিয়ানা, শানাই বাজিতেছে। অগ্রহায়ণ মাস, চারিদিকে বিয়ের ছড়াছড়ি । রাজকুমারের মনে পড়ে, একটি বন্ধুর বিবাহের তার নিমন্ত্রণ ছিল। দু’টি বছর খুজিয়া বাছিয়া একটি মেয়ে পাওয়া গিয়াছে পছন্দমত । এ পছন্দের মানে রাজকুমার জানে। মেয়েটি সুন্দরী নয়, রঙ খুব ফরাসা । তার আরেকটি বন্ধু এরকম বাছাই করা এক মেয়েকে বিবাহ করিয়াছে। অমন রূপ নাকি খুব কম দেখা যায়। বৌ দেখিয়া তাকে নিজের বেী হিসাবে কল্পনা করিতে গিয়া রাজকুমার শিহরিয়া উঠিয়াছিল, এমন কুৎসিত ছিল সেই অত্যন্ত ফরসা রঙের মেয়েট ।