পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুষ্কোণ yeV) সে নয়। তবে মাঝখানে সরসী ছিল। সেই পছন্দ করাইয়া দিয়াছে সন্দেহ নাই। সরসী সব পারে। সকলকে আড়াল করিয়া সরসী একাই তার সঙ্গে কথা বলে । চিরদিন এই তার রীতি। দেখা হওয়া মাত্র রাজকুমারকে সে দখল করে । মনে হয়, রাজকুমারের জন্যই সে যেন ওত পাতিয়া ছিল । তার সভাসমিতি করিয়া বেড়ানোর মানে আর কিছুই নয়, রাজকুমারের আদর্শনের কাঁটা দিন বাজে কাজে কোন রকমে সে সময় কাটায়। মালতী বলে, তোমায় কেমন আনমনা ঠেকছে আজ ? সরসী সঙ্গে সঙ্গে রাজকুমারের হইয়া জবাব দেয়, কবিত্ব করিস নে মালতী, থাম। একটা মানুষ ভাল করে চুল না আঁচড়ালেই তোর কাছে আনমনা ঠেকে। চিরুনিটা দেখি তোর। সরসী নিজেই মালতীর চিরুণী দিয়া রাজকুমারের চুল ঠিক করিয়া দেয়। তার পিছনে দাড়াইয়া মালতী একটু হাসে। রুক্মিণী বলে, চুল আঁচড়ালে কি হবে, রাজকুমারবাবুর চেহারাটাই কবির মত । সরসী মুখে এ কথার প্রতিবাদ করে না, শুধু ভৎসনার দৃষ্টিতে রুক্মিণীর মুখের দিকে তাকায়। রুক্মিণী একেবারে বিব্রত হইয়া পড়ে। কারো চেহারা কবির মত, একথা বলা কি অসঙ্গত ? প্ৰশংসার বদলে তাতে কি নিন্দা বুঝায় ? কে জানো! অথচ সদ্য পরিচিত একজনকে ঠিক এই কথা বলায় পরদিন সকালে সে বাড়ি আসিয়া রুক্মিণীর সঙ্গে ठांठगां° कब्रिश शिांछिल । তাড়াতাড়ি সে আবার বলিতে যায়, কবির মত চেহারা মানেসরসী বলে, মানে, ওকে তোমার খুব পছন্দ হয়ে গেছে। এবার রুক্মিণী নিৰ্ভয়ে সহজ ভাবে জবাব দেয়, তা হয়েছে। তবে একপক্ষের পছন্দে আর লাভ কি ! রাজকুমার মনে মনে তার নিজস্ব অপদেবতার কাছে কাতর প্রার্থনা জানায়। কিন্তু উপায় তো নাই, কথার পিঠে কথা চাপাইতেই