পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ኔኅ ' চতুষ্কোণ হইবে। কোন রকমে একটু হাসিয়া সে বলে, এ অনুমানটা আপনার ভুল -ভুল নয় রাজকুমারবাবু, প্রমাণ আছে। পছন্দ দূরে থাক, আমায় আপনি অপছন্দ করেন । -আগে আপনার প্রমাণ দাখিল করুন, আসামী জবাবদিহি করবে । রুক্মিণী মৃদু মৃদু হাসে। এ ধরনের আলাপের সময় সকলেই হাসে, তবে ঠিক এ ভাবে নয়। কেমন যেন বঁাকা বঁকা রুক্মিণীর হাসি। বুঝা যায়, সরসী অতি কষ্টে ধৈর্য ধরিয়া আছে। রুক্সিণী বলে, যেমন ধরুন, যাকে পছন্দ করে তার বাড়ি লোকে না। ডাকতেই যায়। যাকে পছন্দ করে না যাওয়ার কথা থাকলে তার বাড়িতেও ভদ্রতার খাতিরে যায়। যাকে অপছন্দ করে তার বাড়িতে যাওয়ায় সব ঠিক থাকলেও যায় না । তাই বটে। রুক্মিণী একদিন তাকে বাড়িতে যাওয়ার নিমন্ত্রণ করিয়াছিল, সেও যাইবে বলিয়াছিল। কবে ক’টার সময় যাইবে তাও ঠিক ছিল। তারপর রুক্মিণীর অস্তিত্বই সে ভুলিয়া গিয়াছিল। না যাওয়ার অজুহাত দিয়া ক্ষমা চাহিয়া একখানা চিঠি পৰ্যন্ত লেখে নাই । রুক্মিণী আহত হইয়াছে, রাগ করিয়াছে। রাগ করার কথাই । রাজকুমারের বিপদের টের পাইয়া সরসী মুখ খোলে। —কেন রাজকুমারের চিঠি পাওনি তুমি ? রুক্মিণী বলে, চিঠি ? কিসের চিঠি ? রাজকুমার ভাবে, চিঠি ? কিসের চিঠি ? সরসী বলে, আমার সামনে ও যে তোমায় চিঠি লিখলি ? হঠাৎ শিলং যেতে হল ওকে, নিজেই বলতে যাচ্ছিল তোমাকে, আমি বললাম চিঠি লিখে দিলে চলবে। চিঠি পোস্ট করেছিলে তো রাজকুমার ? রাজকুমার বলে, নিশ্চয়।